ভুজঙ্গ। যত সব মিটমিটে শয়তান, বিড়াল-তপস্বী, রক্তচোষা বাদুড়।
কানাই গাঙ্গুলি অত্যন্ত চ’টে উঠে ঘুষি তুলে মারতে এল, ভুজঙ্গ তার হাত ধ’রে ফেললে। দুজনে ধস্তাধস্তি হ’তে লাগল।
সুবোধবাবু বিব্রত হয়ে বললেন, তোমাদের কি স্থান কাল জ্ঞান নেই, এখন মারামারি করছ? ওহে অবধবিহারী, থামিয়ে দাও না।
অবধবিহারী। হামি আজ একাদ্সি কিয়েছি বাবুজী, বহুত কমজোর আছি।
বিপাশা। মহাবীরজী, আপনি উপস্থিত থাকতে এই সুন্দ-উপসুন্দের লড়াই হবে?
ভূতনাথ তড়াক ক’রে লাফিয়ে উঠল এবং নিমেষের মধ্যে পিছন থেকে লাথি মেরে কানাই আর ভুজঙ্গকে ধরাশায়ী ক’রে দিলে। তার পর আবার নিজের চেয়ারে বসে চোখ কপালে তুলে সমাধিস্থ হ’ল।
গায়ের ধূলো ঝাড়তে ঝাড়তে ভুজঙ্গ বললে, সুবোধবাবু, আপনার বাড়িতে এই অপমান সইতে হবে?
পাছায় হাত বুলুতে বুলুতে কানাই বললে, কুমোরের পুত্তুর ভুতো নন্দী ব্রাহ্মণের গায়ে লাথি মারবে?
অবধবিহারী। এ বাবু গুস্সা করবেন না।
৭৪