পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রায়শ্চিত্ত । * 8వ অধিকার করিয়া লইল, এবং পল্লীরমণীগণ তাহার গণে মপেধ হইয়া গেল। কিন্তু, ইহার ফল সম্পণে সন্তোষজনক হইল না। কারণ, বিশ্ববনিয়ম নীতিবোধপ্রথমভাগের ন্যয় সাধভাষায় রচিত সরল উপদেশাবলী নহে। নিঠর বিদুপপ্রিয় শয়তান মাঝখানে আসিয়া সমস্ত নীতিসত্রগুলিকে ঘটিয়া জট পাকাইয়া দিয়াছে। তাই ভলো কাজে সকল সময়ে উপস্থিত-মত বিশুদ্ধ ভালো ফল ঘটে না, হঠাৎ একটা গোল বাধিয়া ওঠে । অনাথবন্ধর দুইটি ছোটো এবং একটি বড়ো ভাই ছিল। বড়ো ভাই বিদেশে চাকরি করিয়া যে গটিপঞ্চাশেক টাকা উপাজন করিতেন, তাহতেই তছুদের সংসার চলিত এবং ছোটো দুটি ভাইয়ের বিদ্যাশিক্ষা হইত। বল বাহুল্য, আজকালকর দিনে মাসিক পঞ্চাশ টাকায় সংসারের শ্রীবন্ধিসাধন অসম্ভব, কিন্তু বড়ো ভাইয়ের সত্ৰী শ্যামাশঙ্করীর গরিমাবন্ধির পক্ষে উহাই যথেষ্ট ছিল । সলামী সম্প্রবৎসরকাল কাজ করিতেন, এইজন্য সত্ৰী সম্ভবৎসরকাল বিশ্রামের অধিকার প্রাপ্ত হইয়ছিলেন । কাজকম কিছুই করিতেন না অথচ এমন ভ বে চলিতেন, যেন SggSS BBBBBBB BBBB BBBBBB BBBB BBB BBBB BBBB BBBBB BBB স্বাধিত করিয়াছেন । বিধবাসিনী যখন শ্বশুরবাড়ি আসিয়া গহলক্ষীর ন্যায় অহনিশি ঘরের কাজে প্রবত্ত হইল তখন শ্যাম শঙ্করীর সংকীর্ণ অন্তঃকরণটুকু কে যেন কষিয়া অটিয়া ধরিতে লাগিল। তােহর কারণ বে:ঝ শও ! বোধ করি বড়োবউ মনে করিলেন, মেজেবিউ বড়ে ঘরের মেয়ে হইয়: কেবল লোক দেখাইবার জন্য ঘরকন্নার নীচ কাজে নিযন্তে হইয়াছে, উহ তে কেবল তহিকে লোকের চক্ষে অপদস্থ করা হইতেছে। যে কারণেই হউক, মাসিক পঞ্চশ টকার স্ত্রী কিছুতেই ধনীবংশের কন্যাকে সহ্য করিতে পারিলেন না। তিনি তাহর নমতার মধ্যে অসহ্য দেমাকের লক্ষণ দেখিতে পাইলেন । এ দিকে অনাথবন্ধ পল্লীতে আসিয়া লাইব্রেরি পথাপন করিলেন: দশবিশজন স্কুলের ছাত্র জড়ো করিষা সভাপতি হইয়া খবরের কাগজে টেলিগ্রাম প্রেরণ করিতে লাগিলেন ; এমন কি, কোনো কোনো ইংরাজি সংবাদপত্রের বিশেষ সংবাদদাতা হইয়া গ্রামের লোকদিগকে চমৎকৃত করিয়া দিলেন । কিন্তু, দরিদ্র সংসারে এক পয়সা আনিলেন না, বরণ বাজে খরচ অনেক হইতে লাগিল । একটা কোনো চাকরি লইবার জন্য বিন্ধ্যবাসিনী তাঁহাকে সবদাই পীড়াপীড়ি করিতে লাগিল। তিনি কান দিলেন না। মন্ত্রীকে বলিলেন, তাঁহার উপষত্তে চাকরি আছে বটে, কিন্তু পক্ষপাতী ইংরাজ গবমেণ্ট সে-সকল পদে বড়ো বড়ো ইংরাজকে নিষত্তে করে, বাঙালি হাজার যোগ্য হইলেও তাহার কোনো আশা নাই । শ্যামাশঙ্করী তাঁহার দেবর এবং মেঝো জা’র প্রতি লক্ষ্যে এবং অলক্ষ্যে সবাদই বাক্যবিষ প্রয়োগ করিতে লাগিলেন । গবভরে নিজেদের দারিদ্র্য আসফলন করিয়া বলিতে লাগিলেন, “আমরা গরিব মানুষ, বড়ো মানুষের মেয়ে এবং বড়ো মানুষের জামাইকে পোষণ করিব কেমন করিয়া। সেখানে তো বেশ ছিলেন, কোনো দুঃখ ছিল না— এখানে ডালভাত খাইয়া এত কষ্ট কি সহ্য হইবে।” শাশুড়ি বড়োবউকে ভয় করিতেন, তিনি দািবলের পক্ষ অবলম্বন করিয়া কোনো কথা বলিতে সাহস করিতেন না। মেজোবউও মাসিক পঞ্চাশ টাকা বেতনের ডালভাত