পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্টনীড় 8げ● উপস্থিত হইয়া দেখিল, অমল ভূপতির সঙ্গে আসিয়াছে। চার তাহার মুখের দিকে চাহিল না। অমল জিজ্ঞাসা করিল, “বোঠান, আমাকে ডাকছ ?” চার কহিল, “না, এখন আর দরকার নেই।” অমল। তা হলে আমি যাই, আমার আবার অনেক গোছাবার আছে। চার তখন দীপ্তচক্ষে একবার অমলের মুখের দিকে চাহিল; কহিল, “বাও ।” অমল চারীর মুখের দিকে একবার চাহিয়া চলিয়া গেল। আহারান্তে ভূপতি কিছুক্ষণ চারার কাছে বসিয়া থাকে। আজ দেনাপাওনাহিসাবপত্রের হাঙ্গামে ভূপতি অত্যন্ত ব্যস্ত, তাই আজ অতঃপরে বেশিক্ষণ থাকিতে পরিবে না বলিয়া কিছু ক্ষম হইয়া কহিল, “আজ আর আমি বেশিক্ষণ বসতে পারছি নে— আজ অনেক ঝঞ্জাট ।” চার বলিল, “তা যাও-না।” ভূপতি ভাবিল, চার অভিমান করিল। বলিল, “তাই বলে যে এখনই যেতে হবে তা নয়; একটা জিরিয়ে যেতে হবে।” বলিয়া বসিল। দেখিল চার বিমৰ্ষ হইয়া আছে । ভূপতি অনন্তপত চিত্তে অনেকক্ষণ বসিয়া রহিল, কিন্তু কোনোমতেই কথা জমাইতে পারিল না। অনেকক্ষণ কথোপকথনের ব্যথা চেষ্টা করিয়া ভূপতি কহিল, “অমল তো কাল চলে যাচ্ছে, কিছুদিন তোমার বোধ হয় খুব একলা বোধ হবে।” চার তাহার কোনো উত্তর না দিয়া যেন কী-একটা আনিতে চট করিয়া অন্য ঘরে চলিয়া গেল। ভূপতি কিয়ৎক্ষণ অপেক্ষা করিয়া বাহিরে প্রস্থান করিল। চার আজ আমলের মুখের দিকে চাহিয়া লক্ষ্য করিয়াছিল, অমল এই কয়দিনেই অত্যন্ত রোগা হইয়া গেছে— তাহার মুখে তরশতার সেই সফতি একেবারেই নাই। ইহাতে চার সখেও পাইল বেদনাও বোধ করিল। আসন্ন বিচ্ছেদই যে অমলকে ক্লিষ্ট করিতেছে, চাররে তাহাতে সন্দেহ রহিল না; কিন্তু তব অমলের এমন ব্যবহার কেন। কেন সে দরে দরে পালাইয়া বেড়াইতেছে। বিদায়কালকে কেন সে ইচ্ছাপবেক এমন বিরোধতিৰ করিয়া তুলিতেছে। বিছানায় শ্যইয়া ভাবিতে ভাবিতে সে হঠাৎ চমকিয়া উঠিয়া বসিল । হঠাৎ মন্দার কথা মনে পড়িল। যদি এমন হয়, অমল মন্দাকে ভালোবাসে। মন্দা চলিয়া গেছে বলিয়াই যদি অমল এমন করিয়া--- ছি! অমলের মন কি এমন হইবে। এত ক্ষুদ্র ? এমন কলুষিত ? বিবাহিত রমণীর প্রতি তাহার মন যাইবে ? অসম্ভব। সন্দেহকে একান্ত চেষ্টায় দরে করিয়া দিতে চাহিল কিন্তু সন্দেহ তাহাকে সবলে দংশন করিয়া झाँझठन । Jार्भान कर्गब्रग्रा विमाझकाठा स्नार्गमठन । ट्धध निद्रष्काद्र झद्देज मा । अश्वल श्रार्गमञ्चा কম্পিতকণ্ঠে কহিল, “বোঠান, আমার যাবার সময় হয়েছে। তুমি এখন থেকে দাদাকে দেখো । তাঁর বড়ো সংকটের অবস্থা—তুমি ছাড়া তাঁর আর সাক্ষনার কোনো পথ নেই।” অমল ভূপতির বিষয় লান ভাব দেখিয়া সন্ধান স্বারা তাহার দগতির কথা জানিতে পারিয়াছিল। ভূপতি যে কিরাপ নিঃশব্দে আপন খেদদশার সহিত একলা লড়াই করিতেছে, কাহারও কাছে সাহায্য বা সালনা পায় নাই, অথচ আপন আশ্রিত