পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ や や গল্পগুচ্ছ বললে, “দেখো, খন্দর-পরার শচিতা যেদিন গঙ্গানানের মতোই দেশের লোকের সংস্কারে বাঁধা পড়ে যাবে সেদিন দেশ বাঁচবে। বিচার যখন স্বভাবের সঙ্গে এক হয়ে যায় তখনি সেটা হয় আচার। চিন্তা যখন আকারে দঢ়বন্ধ হয় তখনি সেটা হয় সংস্কার; তখন মানুষ চোখ বজে কাজ করে যায়, চোখ খালে বিধা করে না।” এই কথাগুলো অধ্যাপক নয়নমোহনের আপত বাক্য; তার থেকে কোটেশনমাকৰ্ণ ক্ষয়ে গিয়েছে, কলিকা ওগুলোকে নিজের সবচিন্তিত বলেই জানে। বোবার শত্র নেই যে পরষ বলেছিল সে নিশ্চয় ছিল অবিবাহিত। কোনো জবাব দিলাম না দেখে কলিকা বিগণ ঝোকে উঠে বললে, “বৰ্ণভেদ তুমি মুখে অগ্রাহ্য কর অথচ কাজে তার প্রতিকারের জন্য কিছই কর না। আমরা খন্দর পরে পরে সেই ভেদটার উপর অখণ্ড সাদা রঙ বিছিয়ে দিয়েছি, আবরণভেদ তুলে দিয়ে বর্ণভেদটার ছাল ছাড়িয়ে ফেলেছি।” বলতে যাচ্ছিলাম, বৰ্ণভেদকে মুখেই অগ্রাহা করেছিলাম বটে যখন থেকে মসলমানের রান্না মগির ঝোল গ্রাহা করেছিলাম। সেটা কিন্তু মুখস্থ বাক্য নয়, মুখস্থ কায — তার গতিটা অন্তরের দিকে। কাপড় দিয়ে বর্ণ-বৈষম্য ঢাকা দেওয়াটা বাহ্যিক ; ওতে ঢাকা দেওয়াই হয়, মুছে দেওয়া হয় না। তকটিকে প্রকাশ করে বলবার যোগ্য সাহস কিন্তু হল না। আমি ভাঁর প্রযেমানুষ মাত্র. চুপ করে রইলাম। জানি আপোসে আমরা দুজনে যে-সব তক শরে করি কলিকা সেগুলিকে নিয়ে ধোবার বাড়ির কাপড়ের মতো আছড়িয়ে কচলিয়ে আনে তার বাহিরের বন্ধনমহল থেকে । দশনের প্রোফেসর নয়নমোহনের কাছ থেকে প্রতিবাদ সংগ্রহ করে তার দীপ্ত চক্ষ, নয়নের ওখানে নিমন্ত্রণে যাবার ইচ্ছা আমার একটনও ছিল না । নিশ্চয় জানি, হিন্দ-কালচারে সংস্কার ও স্বাধীন বৃদ্ধি, আচার ও বিচারের আপেক্ষিক স্থানট কী, এবং সেই আপেক্ষিকতায় আমাদের দেশকে অন্য-সকল দেশের চেয়ে উৎকর্ষ কেন দিয়েছে, এই নিয়ে চায়ের টেবিলে তপত চায়ের ধোঁয়ার মতোই সক্ষম আলোচনায় বাতাস আদ্র ও আচ্ছন্ন হবার আশর সম্পভাবনা আছে । এ দিকে সেনালি পত্ৰলেখায় মণ্ডিত অখণ্ডিতপত্রবতী নবীন বহিগুলি সদ্য দোকান থেকে আমার তাকিয়ার পাশে প্রতীক্ষা করছে ; শভেদটিমাত্র হয়েছে, কিন্তু এখনো তাদের ব্রাউন মোড়কের অবগঠিন মোচন হয় নি: তাদের সম্বন্ধে আমার পবরাগ প্রতি মহোতে অন্তরে অন্তরে প্রবল হয়ে উঠছে। তব বেরোতে হল ; কারণ, খুবব্রতার ইচ্ছাবেগ প্রতিহত হলে সেটা তার বাকো ও অবাক্যে এমন-সকল ঘণিরপে ধারণ করে যেটা আমার পক্ষে বাস্থ্যকর নয় । বাড়ি থেকে অল্প একট বেরিয়েছি। যেখানে রাস্তার ধারে কলতলা পেরিয়ে অপথ্য সন্টি হচ্ছে তার সামনে এসে দেখি বিষম একটা হাল্লা। আমাদের প্রতিবেশী মাড়োয়ারিরা নানা বহমাল্য পজোপচার নিয়ে যাত্রা করে সবে-মান্ত বেরিয়েছে। এমন সময় এই জায়গাটাতে এসে ঠেকে গেল। শনতে পেলেম মার-মার ধননি। মনে ভাবলাম, কোনো গাঁটকাটাকে শাসন চলছে। মোটরের শিঙা ফ’কতে ফাকতে উত্তেজিত জনতার কেন্দ্রের কাছে গিয়ে দেখি আমাদের পাড়ার বড়ো সরকারি মেথরটাকে বেদম মারছে। একট আগেই রাস্তার