পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

చీt a ওরা তোমাকে দেমাকী মনে করবেন।” পিসিমান্ত্র কথায় শোভা অভ্যাগতদের “ সমাদরে নিজেকে নিয়োজিত কবৃতে । ওঁদের সঙ্গে ঘন্টার পর ঘণ্টা গল্প কবৃতে, খেলুতে!—তাদের মনোরঞ্জনের জন্তু পিয়ানো বাজিয়ে শোনাতো । এ রকম করে মৃত্য-গীতে গল্প-গুঞ্জবে, গেলায় কত সৰো তা’র কেটে যেতো। --একদিন বিশেষ একটি পৰ্ব্ব উপলক্ষো একসঙ্গে ত্রিশজন মিমস্ত্রিত এসে উপস্থিত হ’লেন । আহারের পর অনেকাঞ্জি পৰ্ধান্ত ভাগ খেলা চললে । সিমন্ত্ৰিজ্ঞদের মধ্যে কেউ কেউ সে রাঞ্জে থেকে গেলেন পেশানে। BBDGBB BBB BBB BBK BBS JKS KBBBS স্বাশের পর শোক্তা তার নিজের ঘরে বিশ্রাম করতে গেল কিছুক্ষণের জন্তে । সেখানেও কি তা’র নিস্তার আছে ? আবার তা’র ডাৰু পড়লো অতিথিদের সঙ্গে গল্প করবার জন্তে । এইবায় রাগে দুঃখে বিরক্তিতে তার চোখ ফেটে জল আসছিল। এঞ্চি বিড়ম্বন ডা’র কপাগে । প্রাণে তা’র আনিহ্মের উৎসটি শুষ্ক, তত্ত্ব পরের জছে তাকে আনন্দের মূথোস পরে ছুর্তি করতে হবে । লোকের সঙ্গ যখন তার কাছে অসঙ্ক, তখনও হাসিমুখে অপরকে তার সঙ্গদানে পরিতুষ্ট কবৃতে হবে।--অতিথি-জভাগতদের সঙ্গে শোভা মোটেই আনন্দ পাচ্ছিল না। তাদের কাছে তা’র সহজ লঙ্কোচহীন ভাবটিকে সে মোটেই বজায় রাখতে পারছিল না। তবুও সন্ধ্যা হ’তেন}হতে, দিনের শেষরশ্মি পশ্চিম দিগন্তে মিলিয়ে যেতে-লা-যেতেই–কিসের টানে মন তার বাকুল হয়ে উঠতে বাইরে যাবার জন্তে । সারা চিত্ত তা’র মানুষের সঙ্গলিপ্ত হয়ে উঠতো --- শোভা আমোদ-প্রমোদে নিজের আশীপ্ত মনকে ডুবিয়ে রাখতে ব্যর্থ প্রয়াস পেত! প্রভি সন্ধ্যায় কোথাও না ক্কোথাও তাসখেলা, মৃত্যগীত, সান্ধাভোজনাদি হ’ত, জার সে তাতে যোগ দ্বিত্ত— Astk নবম বর্ষ প্তার আনন্মপিপান্ন হন নিয়ে। তরুণ-তরুক্টক্কা গাইজ। কী মিষ্টি তাদের গল ! কখনও বা গল্প-গুজব চলত্তে—ঘার যত গল্পের পুঞ্জি ছিল সব উজাড় করা হতে সেখানে। কিন্তু এ সবই যেন তার কাছে বিশ্বাদ লাগতো–তাঁর মন ক সৰ কিছুতেই যেন তৃপ্তি পেতে না f হধ৮ তার কি এক অঙ্গীত ব্যথায় টনটন্‌ কবৃতে থাকৃতে রাত্রি একটু বেণী হ’লে, ঘরের মধ্যকীয় গল্প-গুজবের মাঝখানে কখনও কখন ৪ বইয়ের দু-একটি চীৎকার গোলমালের শঙ্গ এসে পৌছাতো ও সকলের মনে ক্ষণিক চাঞ্চশোয় সৃষ্টি করে যেতো ? কখনও বা কোনও মাতালের অর্থহীন প্ললাপ, কখনও বা কেলিগু আৰ্ত্ত পথিকের চীৎকার—গল্পনিরস্ত নরনারীকে বহির্জগং লঙ্গদে সজাগ করে তুলতো ! কখনও বা মাতাল মূকা বাতালের হার ঘরের চিন্থনীগুলির মধ্যে দিয়ে শোনা যেতে, জালালার বিলমিলিগুলি সশৰে, মড়ে উঠতো,আর বাইরের ছুৰ্য্যোগের বাৰ্ত্তা ঘরের লোকদের কাছে এসে পৌছাতো । কিন্তু শোভার মন ম্বেন সব কিছুড়েই নিলিপ্ত, উদাসীন। - সৰ্ব্বত্রই সকলের চেয়ে প্রাধান্ত লাভ কবৃতেন শোভায় পিসিমা ও কারখানার ডাক্তারটি । এখানকার লোকের কেউই পড়াশুনার বড় একটা ধার ধাতেন না। বেশীর ভগ্ন সময়ই তাদের কাটতে আমোদ-প্রমোদে, খেলা-ধূলায়। তরুণতরুণীরা মাঝে মাঝে জোর উন্মার সঙ্গে তর্ক ভুলতে এমন সব বিষয় নিয়ে বার সঙ্গন্ধে তাদের কোন জ্ঞানই নেই—বা তারা বোঝেই না । ফলে কোনও স্থির সিদ্ধান্তে তারা এসে পৌছাতে পাৰ্বত্তে না। তবু জোর তর্ক চলতো।--শোক্তা এদের মত লোক কখনও দেখে নি । এন্ধের যেন কোন বিষয়েই প্রকৃত অম্বুরাগ নেই-ধেন কোনও নিজস্ব মত ব দেশ নেই-কোনও ভাল কাজে উৎসাহও নেই। সাহিত্য অথবা