পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৫৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بالای জেনান খুনী । বিস্ময় জাৰোঁ ৰাড়িয়া উঠিল! স্বধাগু বলিলেন : এই শীতে আর বাইরে যেতে পারি না। এখানেই নিয়ে আর । একে খুনী, তাহাতে আবার স্ত্রীলোক শুনিয়া পারুল ঠকৃঠক্‌ করিয়৷ কঁাপিতে লাগিল । সুধাংশুর কোল হইতে খোকাকে লইয়। সে ধীরে ধীরে খাটের উপর বলিয়া পড়িল । খুনীকে লইয়া ব্লথুয়া ঘরে প্রবেশ করিতেই তাহার মুখপানে চাহিয়া পাঞ্চল একটা অঙ্কুট আৰ্ত্তনাদ করিয়া উঠিল । পোক চীৎকার কয়িতে লাগিল। আগন্ধকও পারুলকে দেগিয়া বিশ্বষ্ট্রে গুন্ধহইয় গেল ! তাঙ্কার লুকের কাপড় রক্তে লাল হইয়া উঠিয়াছে। নিভাননী নিজীবের বড় মেঝেয় বসিয়া পড়িল । ধোকাঙ্কে বিছানায় শোয়াইয়া জিয়া সুধাংশুর একখানি হাত চাপি ধরিয়ু ক্ৰাধিতে ক্টাদিতে পারুল কহিল ; দাঙ্গ, আমার ণাকে বঁাচাও ! —তোমার মা ! বিস্ময়ে স্বধাংশু পাঞ্চলের মুখের দিকে চাহিয়া বণিলেন : হোমার মা এই রমণী ? ধীরকণ্ঠে পারুল কহিল ; সে কথা পরে হবে ভাই—আগে ওঁকে বচাও তুমি ? সুধাংশু যথাসাধ্য চেষ্টা করিলেন, কিন্তু অত্যধিক রক্তপাতের জুলু রোগিণীর অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল । মধ্যরাত্রে নিতাননীর অবস্থা আরও শোচনীয় হইয়া উঠিল। রবীন ও পারুল সেই হইতে একভাবেই রোগিনীর নিকট বসিয়াছিল। [নবম বর্ষ লিভানী বলিল : ড়োর খোকাকে একবার আমার কোলে দে মা,—মার বোধ হয় নেবার সময় হবে না । পাঞ্চল ছেলেকে তাহার কোলে দিতেই সে তাহাকে বুকে চাপিয়া ধরিয়া কহিল ; ওরে শোকন- ওরে বাদু, ওরে মাণিক আমার ! তারপর মেয়ের দিকে ফিরিয়! ৰঞ্জিল - তোকে সেই বামুন ঠাকুরের হাতে তুলে দেব বলে কিছু টাকা ও গহনা আগাম নিয়েছিলুন . শোধ করতে পারি নি বলে সে এই শাস্তি আমার দিয়েছে! আর তুই দিলি স্তোর মায়ের চরমকালে এই পরম পুরস্কাঃ ...বলিয়া সে তাংরি পাণ্ডুর স্টুস্তল গুঞ্জ একবার গোকার কোমল গণ্ডে স্পর্শ ঋরিল ? পাঞ্চলের গুিতয় তখন শ্বে কি হুইতেছিম, তাহা মিণি গৰ্ব্বকালে সকল সময় মানুষের অস্থয়ট দেগির খালিতেছেন, তিনিই শুধু যুঝিতেছিলেন । নিভাননী বলিয়া চলিল ; আমার জন্যে একটুও দুস্থ নেই। তবে তোধের যে এমনভাবে ফিরে পাব, এ আমি স্বপ্নেও কোনদিন ভাবতে পারি নি । স্বধাংশুর মুখ দিয়া হঠাৎ বাহির হইয়া গেল : শুধু তাই নয়, আমার বোল্ট যে কী, আমি আজও তা ঠিক করতে পারি নি! এতদিন ভাবতুম, কবিরাই বুঝি রঙ ফলিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেন। কিন্তু তা নয়—কাটাগাছেও কধল কখন গোলাপ ফুল ফোটে । এই কুখাগুলি শুনিবার জন্তই যেন নিভাননী এতক্ষণ মরণের সহিত যুদ্ধ করিতেছিল।