পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ και ο 外磷邓到要 অবশেষে বড়বাবু থিয়েটারে উপস্থিত হয়ে দেখেন, সে জায়গা প্ৰায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে। এই লোকারণ্যে প্রবেশ করবামাত্র তিনি এতটা ভেবড়ে গেলেন যে, নিজের “সীটে” যাবার পথে এক ব্যক্তির গায়ে ধাক্কা মারলেন, আর এক ব্যক্তির পা মাড়িয়ে দিলেন। তার জন্য তঁাকে সম্বোধন করে যে সব কথা বলা হয়েছিল, তাকে ঠিক স্বাগত-সম্ভাষণ বলা যায় না । তখনও drop-scene ওঠেনি, সবে কনসার্ট সুরু হয়েছিল ; বেহালাগুলো সব সমস্বরে চি চি করছিল, cello গ্যােঙরাচ্ছিল, basis viola থেকে থেকে হুঙ্কার ছাড়ছিল, এবং double basis দ্বিগুণ উৎসাহে হাক্কাহেঁাক্কা করছিল। তবে ঐ ঐক্যতান সঙ্গীতের প্রতি বড় কেউ যে কাণ দিচ্ছিলেন না তার প্রমাণ, দর্শকবৃন্দের আলাপের গুঞ্জনে ও হাসির ঝঙ্কারে রঙ্গভূমি একেবারে কাণায় কাণায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। তারপর drop-scene যখন পাক খেয়ে খেয়ে শূন্যে উঠে গেল, তখন ডজন দুয়েক অভিনেত্রী, লালপরী, নীলপরী, সবজাপরা, জরদােপরী প্রভৃতিরূপে রঙ্গমঞ্চে অবতীর্ণ হয়ে, খামক অকারণ নৃত্যগীত সুরু করে দিলে। বড়বাবুর মনে হল, তার চােখের স্তবকে স্তবকে সব পারিজাত ফুটে উঠল, আর এই সব স্বর্গের ফুল যেন নন্দনবনের মন্দ পাবনের স্পর্শে কখন জড়িয়ে, কখন ছড়িয়ে, ঈষৎ হেলতে দুলতে লাগল। ক্রমে এই সকল নর্তকীদের কম্পিত ও আন্দােলিত দেহ ও কণ্ঠ হতে উদ্ধৃসিত নৃত্যু ও গীতের হিল্লোল, সমগ্র রঙ্গালয়ের আকাশে বাতাসে সঞ্চারিত হল, সে হিল্লোলের স্পর্শে দর্শকমণ্ডলী শিহরিত পুলকিত হয়ে উঠল। মিনিট পাচেকের জন্য অৰ্দ্ধচন্দ্ৰাকারে অবস্থিতি করে এই পরীর দল যখন সবেগে চক্রাকারে ভ্রমণ করতে লাগল, তখন চারিদিক থেকে সকলে মহা-উল্লাসে “encore,” “encore” বলে চীৎকার করতে লাগল। এত আলো, এত রঙ, এত সুরের সংস্পর্শে বড়বাবুর ইন্দ্ৰিয় প্রথম থেকেই ঈষৎ সচকিত উত্তেজিত হয়েছিল, তারপর সমবেত দর্শকমণ্ডলীর এই তরঙ্গিত আনন্দ তাঁর দেহমনকে একটি সংক্রামক ব্যাধির মত আক্রমণ করলে। পান করা অভ্যাস না থাকলে একপাত্ৰ মদও যেমন