পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চার-ইয়ারী-কথা (t মিনে-করা মুখের পিছনে কি ধাতু আছে, তাই জানিবার জন্য আমার কৌতুহল হয়েছিল। --কি ধাতু আবিষ্কার করলে শুনতে পারি ? —আমি জানি তুমি কি শুনতে চাও। –তাহলে তুমি আমার মনের সেই কথা জানি, যা আমি জানিনে। -অবশ্য! তুমি চাও আমি বলি-চুম্বক। কথাটি শোনাবামাত্র আমার জ্ঞান হল যে, এ উত্তর শুনলে আমি খুসি হাতুম, যদি তা বিশ্বাস করতুম। এই নবী আকাঙ্ক্ষা সে আমার মনের ভিতর আবিষ্কার করলে, কি নির্মাণ করলে, তা আমি আজও জানিনে। আমি মনে মনে উত্তর খুঁজছি, এমন সময়ে সে জিজ্ঞাসা করলে “কটা বেজেছে ?” আমি ঘড়ি দেখে বল্লম- “বারোটা ।” “বারোটা” শুনে সে লাফিয়ে উঠে বললে“উঃ! এত রাত হয়ে গেছে ? তুমি মানুষকে এত বাঁকাতেও পার! যাই, শুতে যাই । কাল আবার সকাল সকাল উঠতে হবে। অনেক দূর যেতে হবে, তাও আবার দশটার ভিতর পৌছতে হবে।” —কোথায় যেতে হবে ? ---একটা শীকারে । কেন, তুমি কি জান না ? তোমার সুমুখেই তি George-এর সঙ্গে কথা হল। —তাহলে সে কথা তুমি রাখবে ? —তোমার কিসে মনে হল যে রাখব না ? —তুমি যে ভাবে তার উত্তর দিলে। —সে শুধু George-কে একটু নিগ্রত করবার জন্য। আজ রাত্তিরে ওর ঘুম হবে না, আর জােনই ত ওদের পক্ষে জেগে থাকা কত কষ্ট ! --তোমার দেখছি বন্ধুবান্ধবদের প্রতি অনুগ্রহ অতি বেশি। —অবশ্য ! George-এর মত পুরুষমানুষের মনকে মাঝে মাঝে একটু উসকে না দিলে তা সহজেই নিভে যায়। আর তা ছাড়া ওদের