( ৮ )
সুবুদ্ধির উপদেশ।
বস্তু নিঃশ্রেয়সং বাক্যং মােহান্ন প্রতিপদ্যতে।
স দীর্ঘসূত্রেহীনার্থঃ পশ্চাত্তাপেন যুজ্যতে।
যে ব্যক্তি মোহহেতু হিতবাক্য গ্রহণ না করে সে দীর্ঘসূত্রী হইয়া মনুষ্যত্ব হইতে ভ্রষ্ট হয় এবং পশ্চাৎ সন্তাপে পতিত হয়।
মনুষ্যের দুইরূপ বুদ্ধি আছে—সুবুদ্ধি ও কুবুদ্ধি। যে বুদ্ধি আমাদিগকে শুভ কর্ম্মে উত্তেজিত ও অন্যায় কর্ম্ম হইতে বিরত রাখে তাহাই সুবুদ্ধি, আর যে বুদ্ধির দ্বারা আমরা অন্যায় কাজ করি তাহাই কুবুদ্ধি। কুবুদ্ধির পরামর্শ শুনিয়া চলিলে তুমি পশুর মত হইয়া পড়িবে, সুবুদ্ধির পরামর্শ শুনিলে তােমার ধর্ম্মভাব ফুটিয়া উঠিবে, তুমি মনুষ্যত্ব লাভ করিবে। সুতরাং সাবধানে কুবুদ্ধিকে পরিত্যাগ করিয়া সুবুদ্ধির অনুসরণ করিও।
একটি সুন্দর বাগানে লাবণ্য বসিয়া আছে। চারিদিকে কত রকম ফুল ফুটিয়াছে, কত ফোয়ারা ছুটিতেছে, সুন্দর সুন্দর পাথরের পুতুল সাজান রহিয়াছে। কিন্তু লাবণ্যের সে সব কোন দিকেই মন নাই, তাহার হাতের একটি পুতুল লইয়াই সে ব্যস্ত। সে কখনও তাহাকে কাপড় পরাইতেছে, কখনও আদর করিতেছে, কখনও তাহার সহিত কথা কহিতেছে। এমন সময় সহসা যেন আকাশের একটা দিক অত্যন্ত লাল হইয়া উঠিল। লাবণ্য আশ্চর্য হইয়া সেই দিকে চাহিল অমনি লাল মেঘের মধ্য হইতে যেন একটা পরী নামিয়া আসিয়া তাহার কাছে দাঁড়াইলেন।