পাতা:গল্পস্বল্প.djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ১৭ )

ক্ষণ পরে তিনি দেব চরণে প্রণাম করিতে গমন করিলেন। অপরাহ্ণের নিস্তেজ সূর্য্যরশ্মি মন্দির ভেদ করিয়া শিবমূর্ত্তি উজ্জ্বল করিতে অক্ষম,—শিবের গাত্রজড়িত একটি সর্পের মস্তকস্থিত জ্বলন্ত দীপালােকে তাঁহার মূর্ত্তি বিভাসিত দেখিলেন। প্রণাম করিয়া উঠিবার সময় মহারাজের দৃষ্টি প্রদীপে আকৃষ্ট হইল—কি আশ্চর্য্য! দেখিলেন প্রদীপ তৈলশূন্য অথচ তাহার সমুজ্জ্বল দীপ্তির কিছুমাত্র হ্রাস নাই। মহারাজকে বিস্মিত দেখিয়া পুরােহিত বলিলেন “মহারাজ বিস্মিত হইবেন না, ইহার নাম ইচ্ছাদীপ্ত প্রদীপ। এই প্রদীপের নিম্ন ভূমিতে মহাদেব একটি দেবরত্ন রাখিয়া ইহা জ্বালাইয়া রাখিয়াছেন। যদি কেহ এই রত্নটি গ্রহণ করিতে সমর্থ হয় তবেই এই প্রদীপ নিভিবে নতুবা ইহার নির্ব্বাণ নাই”। মহারাজ অতি আগ্রহের সহিত জিজ্ঞাসা করিলেন “সে রত্নটি কি?”

 পুরােহিত বলিলেন “জগতের সার রত্ন। উহা লাভ করিলে মানুষের দেবত্ব হয়”। মহারাজের লােলুপ হৃদয় তাহা লাভ করিতে উৎসুক হইল; তিনি বলিলেন “উহা কিরূপে লাভ করা যায়? পুরােহিত বলিলেন “ইহা লাভ করিতে হইলে পৃথিবীজয়ী হইতে হইবে, পৃথিবীজয়ী না হইলে লাভের আশা বৃথা।”

 মহারাজ তাহা লাভ করিতে কৃতসঙ্কল্প হইলেন। যাইবার সময় পুরােহিত তাঁহার হস্তে একটী কুশাঙ্গুরীয় পরাইয়া তাহাতে দেবপ্রদীপের কালী মাখাইয়া বলিলেন “যে দিন দেখিবে এই কালীর দাগ মুছিয়া গিয়াছে সেই দিন বুঝিও তুমিও পৃথিবীজয়ী হইয়া এই রত্ন লাভের অধিকারী হইয়াছ—দীপ নিভিয়াছে।”

 রাজা বাড়ী, ফিরিয়া আসিলেন দিগ্বিজয়ের সমস্ত বন্দবস্ত হইল, মহারাজ দিগ্বিজয়ে গমন করিলেন। তখন রাজগণ ভারত