পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসময়ীর রসিকতা "రిస్సి “অশেষ দুৰ্গতি হবে, তার মানে এ নাও হতে পারে যে আমি তোমার অশেষ দুৰ্গতি করব। ওর মানে বোধ হয় এই যে অধিক বয়সে বিবাহ করলে যে সমস্ত সাংসারিক অশাস্তি উপস্থিত হয় তাই তোমারও অদৃষ্টে ঘটবে ।” ক্ষেত্রমোহন বাবু চুপ করিয়া রছিলেন । মনে ভয়ও যথেষ্ট আছে— অথচ বিবাহ করিবার লোভটিও সম্বরণ করা তাহার পক্ষে অসাধ্য । পরদিন আশীৰ্ব্বাদ হইয়া গেল কিন্তু ক্ষেত্রমোহন যে ভৌতিক পত্র পাইয়াছেন সে কথাও রাষ্ট্র হইতে বিলম্ব হইল না । নায়েব রজনী বাবুর ও কাণে ক্রমে এ কথা পৌছিল । বলিয়াছি তিনি ইংরাজি জান৷ ব্যক্তি,— শুনিয়া হাঃ হাঃ করিয়া হাসিয়া উঠিলেন। বলিলেন—“ভূত । এই বিংশ শতাব্দীতে ভূত বিশ্বাস করতে হবে ?” বিবাহের দিনস্থির হইয়াছে ৮ই ফাল্গুন । আর পাচ দিন মাত্র ধাকী আছে । উভয় পক্ষ হইতে সমস্ত আয়োজনাদি হইতেছে। বিকালে বৈঠকখানায় ক্ষেত্রবাবু জনকয়েক বন্ধুবান্ধব সহ বসিয়া ছিলেন ।-ইহঁদেব মধ্যে একজন সরকারী উকীল—নাম মনোহর বাবু । লোকটির বয়স চল্লিশ পার হইয়াছে। চোখে সোণার চশমা । মাথায় বাঁকড়া ঝাকড় চুল—মুখমণ্ডল প্রচুর গোফদাড়িতে আবৃত—হাতে বড় বড় নখ—-এক কথায়,—লোকটি থিয়জফিষ্ট । ক্ষেত্রবাবুর ভৌতিক পত্র প্রাপ্তির সমাচার অবগত হইয় অবধি, মনোহর বাবু ইষ্ঠার সঙ্গে একুটু ঘনিষ্ঠতা স্থাপন করিয়া লইয়াছেন —অপর একজন নব্যযুবক—নাম স্বরেন্দ্রনাথ । ইনি এল এ ফেল করা শিক্ষিত মোক্তার। বিস্তর ইংরাজি উপন্যাস পাঠ করিয়াছেন । স্বরেন্দ্রনাথ বলিলেন—“ক্ষেত্রবাবু—একটা কথা আমার মনে হচ্ছিল, অনেক উপন্যাসে পড়া গেছে, একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল, যেমন রেলে