বল্ত না, কেবল কুঁড়ে ঘর খানির সামনে একলা একলা বসে সেলাই কর্ত।
একদিন একজন রাজা সেই বনে শীকার করতে এলেন। শীকার কর্তে কর্তে তিনি সেই কুঁড়ে ঘরের কাছে এসে দেখ্লেন যে কি সুন্দর একটি মেয়ে বসে সেলাই কর্ছে। তাঁর মনে হল যে এমন চমৎকার মেয়ে তিনি আর কখনও দেখেন নি। তিনি তার কাছে গিয়ে বল্লেন “তুমি আমার রাণী হবে? সে ত কথা কয় না, শুধু ঘাড় নেড়ে বলল “হাঁ”। তখন রাজা তাকে ঘােড়ায় করে বাড়ী নিয়ে গেলেন আর খুব ধূমধাম করে তাঁদের বিয়ে হল।
কিন্তু রাজার বাড়ী গিয়ে মেয়েটি কোন কথা বলে না। সকলে মনে কর্ল তাকে বােবা। রাজার এক সৎমা ছিল সে ভারি দুষ্টু। সে মেয়েটিকে দেখ্তে পারত না। ক্রমাগত রাজাকে বল্ত, “কি মেয়ে বিয়ে করে এনেছ। হাস্তেও জানে না, কথা বল্তেও জানে না। ওটা নিশ্চয় ডাইনী, বাড়ী থেকে দূর করে দাও।”
অনেকদিন রাজা তার কথায় কান দেন নি। কিন্তু যখন সাত বছর হতে চল্ল, তবুও রাণী কথা কয় না, হাসে না, তখন সকলে রাজাকে বল্তে লাগল, “রাজামশাই, নূতন রাণী নিশ্চয় ডাইনী হবে। ডাইনীদের পুড়িয়ে মারতে হয়। ওকে পুড়িয়ে মেরে ফেলুন।” তখন রাজাও ভাবলেন, হয়ত তাই হবে। কাজেই তিনি তাদের কথায় রাজি হলেন।