পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশো ( বিন্দুসার, সুভদ্রাঙ্গী, স্বসীম, কলোটক ও রাধ(গুপ্তের প্রবেশ ) সুসীম। ( জনাস্তিকে বিন্দুসারকে স্পর্শ করিয়া বৃক্ষান্তরালস্থ অশোককে দেখাইয়া) ওই— বিলুদার। ( সুভদ্রাঙ্গীর প্রতি) দেখ, তোমার অশো কের যেরূপ আকার—সেইরূপ প্রকার। অতি সামান্ত প্রজকেও উৎসব-দর্শনে আমি অধিকার প্রদান ক'রেছি। অশোকও উপস্থিত থাকলে আমি বিশেষ আপত্তি করতেম না, বরং উৎসব-দর্শনেচ্ছু হ’লে আমি ভাব তেম যে, অশোকের কিঞ্চিৎ মনুষ্যত্ব আছে। কহ্নাটক ও রাধাগুপ্ত অশোককে উৎসব-স্থলে উপস্থিত হতে উপদেশ দিয়েছিল, কিন্তু সে উপদেশ উপেক্ষা করে এই নির্জন প্রদেশে ক্ষিপ্তের ন্যায় অঙ্গ সঞ্চালন ক'চ্ছে। ধিক্‌, কি মহাপাতকে এই হীন সন্তান আমার বংশে জন্মগ্রহণ ক’রেছে ! ( অশোকের প্রতি অশোক, তুমি যদি উৎসব-দর্শনে ইচ্ছুক, সভাস্থলে উপস্থিত না হয়ে এ স্থানে কেন গুপ্তভাবে অবস্থান ক’চ্ছ ? মন্ত্রীরা তো তোমায় যাবার অনুমতি দিয়েছিলেন। অশোক । উৎসব-দৰ্শন-ইচ্ছা নাহি মহীপাল, ঘৃণা মম উৎসব-দর্শনে।

বিন্দুসার। তবে কেন চোরের মত একদৃষ্টে উৎসব লক্ষ্য ক’চ্ছ ? অশোক । দেখিতেছি, কত হীন মানব-হৃদয় ! s হীন কাৰ্য্য কত প্রিয় তার ! মনুষ্যত্ব কিরূপ ক’রেছে পরিহার! দেখুন সম্রাট, হেন শক্তি নরের শরীরে, যাহে—সিংহ, ব্যাঘ্ৰ, ভলুক প্রভৃতি দাস সম আজ্ঞায় চালিত । কিন্তু সেই মহাশক্তি উপেক্ষা করিয়ে সপ্ত দিবারাত্ৰ আজি বিলাসে বিব্রত, যাহে-চিত্ত পশু সম হয় অবনত । বিন্দুসার। আরে মূঢ়, মনুষ্ঠত্ব কেবল তোমার আছে, আর এ রাজ্যে কারো মনুষ্যত্ব নাই ? দাসের মনুষ্যত্ব আছে বা না

  • ్క iMMAMeA eAeeeAAA AAAAS AAAASS SeMA AMAMAMASAeeA SAMAAAA

বিন্দুসার। বিলাস তোমার হীন বিবেচনা হয় ৷ তক্ষ শিলায় বিদ্রোহ উপস্থিত, শ্রুত আছ কি ? অশোক । মহারাজ, আরও বিস্মিত হচ্ছি—তক্ষশিলায় বিদ্রোহ, আর রাজধানীতে অকারণ উৎসব ! কোন নূতন রাজ্য সাম্রাজ্যভুক্ত হয় নাই, রাজপুরে কোন রাজপুত্র জন্মগ্রহণ করে নাই, কোন দেব-দেবীর পুজা নাই,—কেবল উৎসবের নিমিত্ত উৎসব – যে উৎসবে নৰ্ত্তকীর প্রধান— (জানু পাতিয়া ) ধরণীশ্বর, এ নিমিত্তই এই উৎসবের প্রতি আমার ঘৃণা ! বিন্দুসার। তোমার উৎসবের প্রতি ঘৃণা নয়, ঘৃণা আমার প্রতি । অশোক । না, মহারাজ ! আমার ঘৃণা—হীন পারিষদের প্রতি, ঘৃণা—হীন প্রজাবর্গের প্রতি, যাদের উত্তেজনায় এই উৎসব-কার্য্যে মহারাজ অনুমতি দিয়েছেন। এ উৎসবে তারা রাজভক্তি প্রদর্শন ক’চ্ছে না, মনুষ্যত্বহীন বিলাসীরা রাজসম্মান-ভাণে আপনাদিগের বিলাস-তৃষ্ণ পরিতৃপ্ত ক’চ্ছিল। তক্ষশিলায় বিদ্রোহ, সে বিদ্রোহ দমনের নিমিত্ত কারো উৎসাহ নাই। পিতামহ রাজাধিরাজ চন্দ্রগুপ্ত-স্থাপিত এই বিরাট সাম্রাজ্য যে, অঙ্গহীন হচ্ছে—এর প্রতি কারো লক্ষ্য নাই ৷ তক্ষশিলা যদি দমিত না হয়, তক্ষশিলায় যদি রাজ-শাসন স্থলিত হয়, দিন দিন অপরাপর প্রদেশও পাটলিপুত্রের সিংহাসন উপেক্ষা করতে উত্তেজিত হবে—তক্ষশিলাবাসীর সকলেই অনুকরণ করবে। বিন্দুদার। দেখ রাজ্ঞি, বৰ্ব্বরের স্পৰ্দ্ধা দেখ! মন্ত্রীবেষ্টিত সম্রাটকে কদাচার কুরূপ বাতুল—উপদেশ প্রদান ক’চ্ছে। অশোক । মহারাজ, দাস তো কোন নীতিবিরুদ্ধ কাৰ্য্য করে নাই । - বিন্দুসার। তুমি তক্ষশিলা দমন করবার নিমিত্ত প্রস্তুত না কি ? অশোক । মাত্র রাজাঞ্জার অপেক্ষ । মুসীম। (জনাস্তিকে বিন্দুসারের প্রতি) বাবা, অশোককে পাঠিয়ে দিন না, তাহলে আপনার আপদ সহজেই চুকে যায়। বিন্দুসার। আমার আজ্ঞার অপেক্ষ ? আজ্ঞ দিলুম। তক্ষশিলা দমন কর । অশোক । সৈন্ত সজ্জিত হ’তে আদেশ প্রদান করুন। বিন্দুসার।. তোমার সৈন্ত তুমি বেছে নাও ; এ হীন