পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬ . ' & গিরিশ-গ্রন্থাবলী 顧鬥 響 অশোক। তুমি আমার সিংহাসনের অনুপযুক্ত নও। যদি তুমি সিংহাসনে উপবেশন করতে অসম্মত হও, আমি সিংহাসন হ’তে অবতরণ ক’রে তোমার পাশ্বে দণ্ডায়মান হচ্ছি। তোমার রত্নস্থার বিনিময়ের উপযুক্ত রত্ন আমার নাই। তবে কুমুমরত্ব-দেবপ্রিয়, এই কুমুমরত্বে গ্রথিত রাজগলদেশের মালা তোমায় অর্পণ করলেম । সকলে । জয় রাজদম্পতীর জয় ! ( সহচরীগণের গীত ) চাদ-ধরা ফ*াদ পেতেছিল, যতনে মালা গেথে। ধরতে গিয়ে পড়লে ধরা, চাদ ধরেছে বুক পেতে ॥ । কিনেছে বিকিয়ে গিয়ে, ধ'রেছে ধরা দিয়ে, এ সাধের খেলা দিয়ে-নিরে, নয় শুধু নিয়ে ; দিয়েছে তাই পেয়েছে, কোমল-কঠিন এক হয়েছে, দুই ধারা এক স্রোতে চলে, ডুবেছে প্রাণ তায় মেতে । க_ம் দ্বিতীয় অঙ্ক প্রথম গভাঙ্ক পাটলিপুত্র-রাজসভা কহলাটক ও রাধাগুপ্ত। কলোটক। সেই দিনই রাজবৈদ্য বলেছিলেন, যদিচ পক্ষাঘাতে এবার নিস্তার পেলেন, অচিরে জীবনলীলা সম্বরণ করতে হবে.নিশ্চয়। রাধাগুপ্ত। কিন্তু আজ কয়দিন মহারাজকে কিঞ্চিৎ সুস্থ বোধ হ’চ্ছে, না ? চ'লে-ফিরে বেড়াচ্ছেন ? কহ্নাটক। বৈদ্য বলেন, এ বায়ুপ্রভাবে, নিৰ্ব্বোণোন্মুখ দীপের ন্যায়। বহুদিন আর এ অবস্থায় অতিবাহিত হবে না। রাধাগুপ্ত। এখন কি কৰ্ত্তব্য বিবেচনা ক’চ্ছেন ? কুমার অশোক তো আজও উপস্থিত হলেন না। যুবরাজ মুসীমও তক্ষশিলা পরিত্যাগ ক’রেছেন, সংবাদ পেলেম । তিনি উপস্থিত হ’লে মহারাজ তারেই সিংহাসন অর্পণ ক’বেন, সেই জন্তই ভারতের সমস্ত করপ্রদ রাজন্তবর্গকে নিমন্ত্রণ করেছেন। তার অভিপ্রায়, নৃপতিবৃনের সম্মুখে যুররাজকে সিংহাসন প্রদান করেন। S AeAMAeeMAeeA eeAe eAAAA AeeeAS SAMSMSAASAASAASAAAS কলোটক। আমি এই আশঙ্কায় কৌশলে যুবরাজকে তক্ষশিলায় প্রেরণ ক’রেছিলেম । ' রাধাগুপ্ত। আপনার অদ্ভুত কৌশল। কহলাটক। এতে আমার প্রশংসা নাই। তক্ষশিলার গোলাপকুঞ্জ-বর্ণন শ্রবণে সেই বারবিলাসিনী মুগ্ধ হয়ে যুবরাজকে তক্ষশিলার ভারগ্রহণে উত্তেজিত করে। সেই বারবিলাসিনীর সন্তোষের জন্ত মহারাজের শত অনুরোধ উপেক্ষা করে, তিনি তক্ষশিলার অধিকার কুমার অশোকের নিকট হ'তে গ্রহণ করেছেন এবং কুমার অশোকও সেই কারণে উজ্জয়িনীতে প্রেরিত হয়েছেন। কিন্তু আমাদের পত্র প্রাপ্ত হয়েছেন—সংবাদ দিয়েছেন ; এবং পরদিনই উজ্জয়িনী পরিত্যাগ করবেন প্রকাশ ক’রেছেন। কিন্তু আজও কি নিমিত্ত উপস্থিত হচ্ছেন না, বলতে পারছি না। পথে কি কোন বাধা প্রাপ্ত হ’য়েছেন ? এই যে কুমার ! ( অশোকের প্রবেশ ) কুমার, শুনুন,—আপনাকে বিশ্রামের সময় দিতেও আমারা অসন্মত। শুনছি, যুবরাজ সুসীম আগতপ্রায়। অশোক। পিতা কেমন আছেন ? কহলাটক। তার অবস্থা শোচনীয়। রাজমুকুট সিংহাসনে স্থাপন পূৰ্ব্বক রাজকাৰ্য্য আমরাই নিৰ্বাহ ক'চ্ছি। যদি যুবরাজ মুসীম নিৰ্ব্বদ্ধিতাবশতঃ বেস্তার অনুরোধে, আপনার ঐশ্বৰ্য্যে ঈর্ষ্যান্বিত হয়ে তক্ষশিলায় না গমন । করতেন, এতদিন রাজ্য-শাসনের ভার তার উপরেই আপত হত। মহারাজ আপনার নিকট প্রতিশ্রত আছেন যে, তক্ষশিলা জয় করলে সিংহাসন আপনাকে অর্পণ করবেন। আপনি মহারাজের নিকট সেই প্রার্থনা করেন—আমাদের আবেদন। যুবরাজ সুসীম অধিকার প্রাপ্ত হ’লে অচিরে এই বিপুল সাম্রাজ্য ছারখারে যাবে। অশোক। মন্ত্রীবর, আমি পুত্র,—মহারাজের আজ্ঞা পালন করা আমার কৰ্ত্তব্য। সেই কৰ্ত্তব্য-পালনে রাজইচ্ছায় তক্ষশিলার সিংহাসন যুবরাজকে অর্পণ ক’রে উজ্জয়িনীতে আমি গমন করেছিলেম, কেবল আপনাদের অনুরোধে নয়। মহারাজ আমার সিংহাসন দেবেন— প্রতিশ্রত ছিলেন সত্য ; কিন্তু তার অনিচ্ছায় সিংহাসন গ্রহণ ক’রতে আমি অসম্মত ।