পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিত্যানন্দ-বিলাস "$੧੩ ുപ്പള്ളി ു്. উদ্ধারণ। খড়চ ক’ড়বি যে, কই খড়চ কড় না ? টাকা বাড় কড় না-ওড়া যা চায়, দে না ? কমলা। তা দেব নয়ত কি ? তুমি চুপ কর। উদ্ধারণ। আমি চুপ কড়েচি এখনও আমাড় কথ শোন, পয়সা দু’চাড় আনা দে, দিয়ে বিদেয় কড়। তা না হলে শেষে প’রবি ভাড়ি ফেড়ে। : প্রদান ) উদ্ধারণ। ওড়ে তুই কড়লি কি ? সোণাড় বালাটা ওদেড় দিলি ? তুই ত ভাড়ি বেকুব । আচ্ছ, দিয়েচিস্ বেশ কড়েছিস্ ; এখন ঝি-জামাই নিয়ে ঘড়েড় ভেতড় চল। ঐ ওড়৬খিদে পেয়েচে–ও ক্ষীড় খাবে বলেছিল। [ একদিক দিয়া হিজড়াগণের গান করিতে করিতে ও অন্যদিক দিয়া উদ্ধারণ, কমলা প্রভৃতির প্রস্থান। ত তীয় দৃশ্য যমপুর যম ও গৌরাঙ্গ । গৌরাঙ্গ। তুমি আমায় কোথায় নিয়ে এলে? কি চাও ? যম। সিংহাসনে বসুন। গৌরাঙ্গ। কি চাও? কেন এখানে আমায় আনলে ? যম । ঠাকুর, তোমার স্বর্গ, মৰ্ত্ত, রসাতলের ভার সবাইকে দিয়েছ, নরকের ভার আমার উপর। কিন্তু তুমি বারবার অবতার হ’লে আমার অধিকার কোথায় থাকবে ? যেখানে তোমার ভক্তের গায়ের হাওয়া চলবে, সেখানকার চার ক্রোশের জীব উদ্ধার হবে। গৌরাঙ্গ । তুমি ভেবোন, এত সোজা, তবু লোক অবিশ্বাস করবে। আমার নাম নিয়ে তরবে, তবু লোকে অবিশ্বাস করবে। যম, তুমি জানন, কলির জীবের ভারি সন্দেহ, তাই বারবার অবতার হবে,- কলির জীবকে কমলা । (হস্ত হইতে স্বর্ণবালা খুলিয়া হিজড়াদিগকে বোঝাব,—“দ্যাখ, তোদের জন্য মরি,-একবার নাম ক’ল্পে ত’রিস, তা কেন না করিস্ ?” যম। ঠাকুর, কেন তুমি অবতার इé ? তোমার ইচ্ছায় তো সকলি হয় । গৌরাঙ্গ। কি হ’য়েছে, কি হয় ? আমি ব্রহ্মময় লোকে মায়া নিয়ে করে হয়কে নয় । যম। ঠাকুর, তোমার আবার কিসের মায়া ? গৌরাঙ্গ । মায়া ব’ল্লে মায় থাকেনা। কর আমার ভজন,- কিছু জান্তে চেওনা, মায়ার মোহ বুঝেও বোঝনা? আমি তোমার, তুমি হও হে আমার, তোমার তরে নাম নিয়ে ফিরি দ্বারে দ্বার। যম, তুমি নিশ্চিন্ত হও । অবিশ্বাসী কলির জীব সকলেই তোমার শাসনাধীন হবে। [ গৌরাঙ্গের প্রস্থান। ( যমদূতগণের প্রবেশ ও গীত ) মিশ্র-কাহাবুবা । আমি চেপে ধ'রবো কার যাড়ে,— ক্যাত ক্যত মারবো লাথি— লাগবে তার হাড়ে হাড়ে। কোন শাল জ্বরে মরেছে, ওলাউঠোয় কেউ বা এয়েচে, বসন্তের ছট্‌ফটানি কেউ বা জ্ব'লেছে, জ্বালার চোটে সে তো এসেছে ; আগুনে কেউ পুড়েছে, জলে জুব কেউ মরেছে, কেউ আপনার হাতে আপনি ম'রে— ভূত হয়ে এসে হ পি ছাড়ে। [ সকলের প্রস্থান ;