নাট্যশালা। দ্রৌপদী ও রমণীবেশী ভীম। ীেপ। স্থির হও, কেহ যদি শোনে শ্বাস তব ভূজঙ্গম সম । ভীম । শুনি দ্রুপদ-নদিনি, মৃত্যু নারীজাতি ; দর্পণে দেখিব গিয়ে 齡 ক্রুদ্ধ ভীম কিরূপ রমণী-বেশে ! কহ নাই রঙ্গভঙ্গ করি ? এখন বিলম্ব কেন ? 에 দ্রৌপ। ধর ধৈর্য্য ; এক ভিক্ষ বীরবর, আমি না পারিব প্রহারিতে পাষণ্ডের শিরে, যেন আম জ্ঞানে, লয় তব তিন পদাঘাত, একে একে গুনি আমি অস্তরালে থাকি। বীরবর, _ পুরায়েছ সকল বাসন, এ মিনতি কর’ না অন্যথা । ভীম। ভাল, সেইমত করিব বৰ্ব্বরে। ন্দ্রেীপ। ঐ বুঝি আসিছে বৰ্ব্বর, মিনতি রাখিও মোর । দ্রৌপদীর প্রস্থান ( কীচকের প্রবেশ ) কীচ। কোথা বিশল্যকরণি, দেখা দাও, খুজিয়া না পাই । ( ভীমের পদধ্বনিকরণ নাহি আভরণ, কেন পদধ্বনি ? রাখ পরিহাস, যাই কাছে— কও কথা, খুজিয়া না পাই! উীম। চুপ! কীচ। ওহে!—ওহে, কোথা তুমি ? ( স্পর্শ করিয়া) আহা—আহা, কি কোমল কায় ! ভীম। ছাড়, ব্যথা মম গায়, প্ৰহারে জর্জর আমি। । কীচ। ছিঃ প্রেয়সি, প্রেমের সে লাথি ! ভোলনি এখনও তুমি ? - দেখি, পারি যদি ভোলাইতে গাঢ় আলিঙ্গনে ; আৰু, ডগমগ নধর লতিক সম! ) আহ, গণ্ডস্থল কি কোমল! । আরে, শ্মশ্র মোর প্রবেশে । নাসিক-দ্বারে । । . . . . . . ভীম। দেখ, চ’লে যাব হেতা হতে । কাঁচ। কেন, কিবা অপরাধ । . ডাকি যদি সবারে এখন ? ভীম । লজ্জা নাহি হবে তব ? কাঁচ। মোরে জানে পুরবাসিগণে ; সুন্দরী যে আছে যথা আজি বা ছুদিন পরে ভোগ্য মোর! কিন্তু শরদিন্দুনিভাননি, আজি হ’তে তোর, ভ্রমর তোমার আমি ! ভীম। এত যদি, মারিতে না উচিত চরণ। কীচ। এই দেখ, - আছি আমি মস্তক পাতিয়া । কর তুমি পদাঘাত । ভীম । ছিছি ! হীন আমি কেমনে করিব ? কীচ। কর পদাঘাত, আছি মাথা পেতে, না কর বিলম্ব মিছে ; যবে প্রণয় জন্মিল, তুমি আমি এক-প্রাণ । ভীম । ঐ খেদ এক প্রাণ ! কীচ । ই প্রেয়সি, এক প্রাণ ; কমল সমান কোমল চরণ তোর, ভাব কি রূপসি, ব্যথা আমি পাব তীয় ? কোমলাঙ্গি ! কর হে প্রহার, প্রেমালাপে বিলম্ব কি হেতু আর ? ভীম । ( প্রথম পদাঘাত ) কাঁচ। যেন পুষ্প-বরিষণ । ভীম । ( দ্বিতীয় পদাঘাত ) কীচ । সচন্দন! ভীম । ( তৃতীয় পদাঘাত ) ৷ কীচ। এইবার চৌদ্দ ভুবন ! ভীম। আরে দুষ্ট, গন্ধৰ্ব্বে চালন । কীচ । এ্যা—গন্ধৰ্ব্ব ? বধি তোরে, সৈরিন্ধীরে বধিব পশ্চাতে দিয়ে যত ভৃত্যগণে উপভোগ হেতু। ভীম। আরে রে বামন, চন্দ্রমুধা কর সাধ । বধি তোরে পশুর সমান। i [ যুদ্ধ করিতে করিতে উভয়ের প্রস্থান।
