দিনের বেলা জগৎ-মাঝে সবাই যখন চলছে কাজে আপন গরবে—
তোরা পথের ধারে ব্যথা নিয়ে করিস ঘাঁটাঘাঁটি—
কেবল করিস ঘাঁটাঘাঁটি
৩১
ঘরে মুখ মলিন দেখে গলিস নে— ওরে ভাই,
বাইরে মুখ আঁধার দেখে টলিস নে— ওরে ভাই।
যা তোমার আছে মনে সাধো তাই পরানপণে,
শুধু তাই দশজনারে বলিস নে— ওরে ভাই॥
একই পথ আছে ওরে, চলো সেই রাস্তা ধরে,
যে আসে তারই পিছে চলিস নে— ওরে ভাই!
থাক্-না আপন কাজে, যা খুশি বলুক-না যে,
তা নিয়ে গায়ের জ্বালায় জ্বলিস নে— ওরে ভাই
৩২
এখন আর দেরি নয়, ধব্ গো তোরা হাতে হাতে ধর্ গো।
আজ আপন পথে ফিরতে হবে সামনে মিলন-স্বর্গ॥
ওরে ওই উঠেছে শঙ্খ বেজে, খুলল দুয়ার মন্দিরে যে—
লগ্ন বয়ে যায় পাছে, ভাই, কোথায় পূজার অর্ঘ্য?
এখন যার যা-কিছু আছে ঘরে সাজা পূজার থালার ’পরে,
আত্মদানের উৎসধারায় মঙ্গলঘট ভর্ গো।
আজ নিতেও হবে, আজ দিতেও হবে, দেরি কেন করিস তবে—
বাঁচতে যদি হয় বেঁচে নে, মর্তে হয় তো মর্ গো॥
৩৩
বুক বেঁধে তুই দাঁড়া দেখি, বারে বারে হেলিস নে ভাই!
শুধু তুই ভেবে ভেবেই হাতের লক্ষ্মী ঠেলিস নে ভাই॥
একটা কিছু করে নে ঠিক, ভেসে ফেরা মরার অধিক—
বারেক এ দিক বারেক ও দিক, এ খেলা আর খেলিস নে ভাই॥