গাঁথিবি তারে রতনহারে বুকেতে নিবি তুলি মধুর বেদনায়।
কাননবীথি ফুলের রীতি নাহয় গেছে ভুলি,
তারকা আছে গগনকিনারায়।
৩২২
এলেম নতুন দেশে—
তলায় গেল ভগ্ন তরী, কূলে এলেম ভেসে।
অচিন মনের ভাষা শোনাবে অপূর্ব কোন্ আশা,
বোনাবে রঙিন সুতোয় দুঃখসুখের জাল,
বাজবে প্রাণে নতুন গানের তাল—
নতুন বেদনায় ফিরব কেঁদে হেসে।
নাম-না-জানা প্রিয়া
নাম-না-জানা ফুলের মালা নিয়া হিয়ায় দেবে হিয়া।
যৌবনেরই নবোচ্ছ্বাসে ফাগুন মাসে
বাজবে নূপুর বনের ঘাসে।
মাতবে দখিনবায় মঞ্জরিত লবঙ্গলতায়,
চঞ্চলিত এলো কেশে।
৩২৩
ঝড়ে যায় উড়ে যায় গো আমার মুখের আঁচলখানি।
ঢাকা থাকে না হায় গো, তারে রাখতে নারি টানি।
আমার রইল না লাজলজ্জা, আমার ঘুচল গো সাজসজ্জা—
তুমি দেখলে আমারে এমন প্রলয়-মাঝে আনি
আমায় এমন মরণ হানি।
হঠাৎ আকাশ উজলি কারে খুঁজে কে ওই চলে,
চমক লাগায় বিজুলি আমার আঁধার ঘরের তলে।
তবে নিশীথগগন জুড়ে আমার যাক সকলই উড়ে,
এই দারুণ কল্লোলে বাজুক আমার প্রাণের বাণী
কোনো বাঁধন নাহি মানি।