বাতাসে লুকায়ে থেকে কে যে তোরে গেছে ডেকে,
পাতায় পাতায় তোরে পত্র সে যে গেছে লেখি।
কখন্ দখিন হতে কে দিল দুয়ার ঠেলি,
চমকি উঠিল জাগি চামেলি নয়ন মেলি।
বকুল পেয়েছে ছাড়া, করবী দিয়েছে সাড়া,
শিরীষ শিহরি উঠে দূর হতে কারে দেখি।
২৪৪
ওরা অকারণে চঞ্চল।
ডালে ডালে দোলে বায়ুহিল্লোলে নব পল্লবদল।
ছড়ায়ে ছড়ায়ে ঝিকিমিকি আলো
দিকে দিকে ওরা কী খেলা খেলালো,
মর্মরতানে প্রাণে ওরা আনে কৈশোরকোলাহল।
ওরা কান পেতে শোনে গগনে গগনে
নীরবের কানাকানি,
নীলিমার কোন্ বাণী।
ওরা প্রাণঝরনার উচ্ছল ধার, ঝরিয়া ঝরিয়া বহে অনিবার,
চির তাপসিনী ধরণীর ওরা শ্যামশিখা হোমানল।
২৪৫
ফাগুনের নবীন আনন্দে
গানখানি গাঁথিলাম ছন্দে।
দিল তারে বনবীথি কোকিলের কলগীতি,
ভরি দিল বকুলের গন্ধে।
মাধবীর মধুময় মন্ত্র
রঙে রঙে রাঙালো দিগন্ত।
বাণী মম নিল তুলি পলাশের কলিগুলি,
বেঁধে দিল তব মণিবন্ধে।