কেড়ে নে ওর থলি খালি, আয় রে নিয়ে ফুলের ডালি,
গোপন প্রাণের পাগ্লাকে ওর বাইরে দে আজ প্রকাশি। হায় হায় রে।
১২৬
আমরা খুঁজি খেলার সাথি—
ভোর না হতে জাগাই তাদের ঘুমায় যারা সারা রাতি।
আমরা কি পাখির গলায়, আমরা নাচি বকুলতলায়,
মন ভোলাবার মন্ত্র জানি, হাওয়াতে ফাঁদ আমরা পাতি।
মরণকে তো মানি নে রে,
কালের ফাঁসি ফাঁসিয়ে দিয়ে লুঠ-করা ধন নিই যে কেড়ে।
আমরা তোমার মনোচারা, ছাড়ব না গো তোমায় মোরা—
চলেছ কোন্ আঁধার-পানে সেথাও জ্বলে মোদের বাতি।
১২৭
মোদর যেমন খেলা তেমনি যে কাজ জানিস নে কি ভাই।
তাই কাজকে কভু আমরা না ডরাই।
খেলা মোদের লড়াই করা, খেলা মোদের বাঁচা মরা,
খেলা ছাড়া কিছুই কোথাও নাই।
খেলতে খেলতে ফুটেছে ফুল, খেলতে খেলতে ফল যে ফলে—
খেলারই ঢেউ জলে স্থলে।
ভয়ের ভীষণ রক্তরাগে খেলার আগুন যখন লাগে
ভাঙাচোরা জ্ব’লে যে হয় ছাই।
১২৮
সব কাজে হাত লাগাই মোরা সব কাজেই।
বাধা বাঁধন নেই গো নেই।
দেখি খুঁজি বুঝি, কেবল ভাঙি গড়ি বুঝি,
মোরা সব দেশেতেই বেড়াই ঘুরে সব সাজেই।
পারি নাইবা পারি, নাহয় জিতি কিম্বা হারি—