তব বীর-হাতে এই ভূষণের সাথে
আমার প্রণাম যাক তব পিছু পিছু।
তুমি চাহ নি কিছু, সখা, চাহ নি কিছু।
উত্তীয়। আমার জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী করেছ দান—
তুমি জান নাই, তুমি জান নাই,
তুমি জান নাই তার মূল্যের পরিমাণ।
রজনীগন্ধা অগোচরে
যেমন রজনী স্বপনে ভরে সৌরভে,
তুমি জান নাই, তুমি জান নাই,
তুমি জান নাই, মরমে আমার ঢেলেছ তোমার গান।
বিদায় নেবার সময় এবার হল—
প্রসন্ন মুখ তোলো,
মুখ তোলো, মুখ তোলো—
মধুর মরণে পূর্ণ করিয়া সঁপিয়া যাব প্রাণ চরণে।
যারে জান নাই, যারে জান নাই,
যারে জান নাই,
তার গোপন ব্যথার নীরব রাত্রি যোক আজি অবসান।
শ্যামা হাত ধ’রে উত্তীয়ের মুখের দিকে চেয়ে রইল
অল্পক্ষণ পরে হাত ছেড়ে ধীরে ধীরে চলে গেল
সখী। তোমার প্রেমের বীর্যে
তোমার প্রবল প্রাণ সখীরে করিলে দান।
তব মরণের ডোরে বাঁধিলে বাঁধিলে ওরে
অসীম পাপে অনন্ত শাপে।
তোমার চরম অর্ঘ্য
কিনিল সখীর লাগি নারকী প্রেমের স্বর্গ।
উত্তীয়। প্রহরী, ওগো প্রহরী, লহো লহো লহো মোরে বাঁধি।
বিদেশী নহে সে তব শাসনপাত্র—