পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ নির্বেদ-লক্ষণ-উপলব্ধির তৃতীয় সঙ্গীতে বর্ণিত হইয়াছেভূক্তি-মুক্তি-বাঞ্ছা-দুইটিই পিশাচী । তন্মধ্যে মুক্তিবাঞ্ছা আরও অধিক দুষ্ট “মুক্তিবাঞ্ছা দুষ্ট অতি, নষ্ট করে শিষ্টমতি, মুক্তি-স্পৃহা কৈতব-প্রধান। তাহা যে ছাড়িতে নারে, মায়া নাহি ছাড়ে তা’রে, তা’র যত্ন নহে। ফলবান ॥ তৃতএব স্পাহাদ্বয়, ছাড়ি’ শোধ” এ হৃদয়, নাহি রাখা কামের বাসনা । ভোগ-মোক্ষ নাহি চাই, শ্ৰীকৃষ্ণ-চরণ পাই, বিনোদের এই ত” সাধনা ৷” শ্ৰীক্লপগোস্বামি-প্ৰভু “ভক্তিরাসামৃতসিন্ধু”র প্রারম্ভে— অন্যাভিলাষিতাশূন্যং জ্ঞানকৰ্ম্মাদ্যনাবৃতম্। আনুকূল্যেন কৃষ্ণানুশীলনং ভক্তিরুত্তম ॥ —শ্লোকে ‘অন্যাভিলাষিতাশূন্য” অর্থে—“অহৈতুকী” ও “জ্ঞানকৰ্ম্মাদ্যনাবৃতা’ অর্থে—“অপ্ৰতিহত্য” অধোক্ষজ-ভক্তির কথা বলিয়াছেন। শ্ৰীৰূপের “অন্যাভিলাষিতাশূন্যং” শ্লোক শ্ৰীমদ্ভাগবতের “স বৈ পুংসং পরো ধৰ্ম্ম৷” শ্লোকেরই বিবৃতি। ঠাকুর শ্ৰীল ভক্তিবিনোদ শ্ৰীৰূপ গোস্বামি-প্রভুর কথিত সেই “উত্তম ভক্তি”ই জগতে আচারমুখে প্রচার করিয়াছেন।” ভোগ-মোক্ষ-বাসনা থাকিলে ভক্তিকে “অহৈতুকী” ও “অপ্ৰতিহতা’ বলা যায় না। ঐ দুইটি চেষ্টা সম্পূর্ণ অভক্তিবাদ বা ভক্তি-বিরোধ। Digitized at BRCindia.com