পাতা:গুপ্ত রহস্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
দারোগার দপ্তর, ১৩৪ সংখ্যা।

 আমার কথার উত্তরে মসলিন্ কহিল, “আমাদিগের কোনরূপ উদ্দেশ্য আছে বলিয়াই আমরা তোমাকে এই স্থানে আনিয়াছি ও এই স্থানে তোমাকে আবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছি। তুমি যতই কেন রোদন করনা বা এই স্থান হইতে পলায়ন করিবার যতই কেন চেষ্টা করনা কিছুতেই তোমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হইবে না। অভাব পক্ষে পোনের দিবস কাল তোমাকে এই স্থানে থাকিতে হইবে, তাহার পর তোমাকে ছাড়িয়া দিব, তুমি ইচ্ছামত আপন স্থানে গমন করিও। এখানে যে কয় দিবস তুমি থাকিবে, সেই কয় দিবস তোমার কোনরূপ কষ্ট হইবে না, তুমি আমাদিগের প্রস্তুত আহারীয় খাইতে চাহিলে অনায়াসে খাইতে পারিবে; আর তাহা যদি না চাও তাহা হইলে তোমার যে কোন দ্রব্যের প্রয়োজন হইবে তাহা আমাদিগকে বলিবা মাত্রই প্রাপ্ত হইবে ও স্বহস্তে অনায়াসেই রন্ধনাদি করিয়া খাইতে পারিবে। এই স্থানে তোমাকে আর একটা কথা বলিয়া রাখি, মনোযোগ দিয়া তাহা শ্রবণ কর। তোমার যথা সর্ব্বস্ব যে আমরা অপহরণ করিয়া আনিয়াছি, তাহাতে আর কিছু মাত্র সন্দেহ নাই; কিন্তু জানিও, যে পোনের দিবস কাল তুমি এই স্থানে অবস্থিতি করিবে সেই পোনের দিবসের মধ্যে আমরা জানিতে পারিব তুমি কিরূপ চরিত্রের স্ত্রীলোক, তুমি কিরূপ আমাদের আজ্ঞানুবর্ত্তী হইয়া চল ও তুমি কোনরূপ দয়ার পাত্রী কি না? যদি বুঝিতে পারি যে তুমি প্রকৃতই দয়ার পাত্রী, তাহা হইলে তুমি নিশ্চয় জানিও যে তোমার অপহৃত দ্রব্যের কিয়দংশ আমরা তোমাকে প্রত্যার্পন করিব। উহা লইয়া তুমিও আপন স্থানে প্রত্যাগমন করিতে পারিবে। আর যদি জানিতে পারি যে তুমি