অতি অল্প পরিমাণে উন্মোচীত করিলাম। অর্থাৎ এরূপ ভাবে ও এরূপ পরিমাণে উহা খুলিলাম ধে উহা দেখিয়া কেহ অনুমান করিতে না পারেন যে আমি উহা খুলিয়াছি। অথচ উহার মধ্য দিয়া আমি দেখিতে পাই যে অপর প্রকোষ্ঠে কি হইতেছে।
ঐ স্ত্রীলোকটীকে মসলিম্ প্রথমতঃ সঙ্গে লইয়া সেইঘরের ভিতর উপবেশন করিল। ঐ দস্যগণের মধ্যে হইতে এক এক করিয়া ক্রমে আরও পাঁচ ছয় জন লোক ঐ ঘরের ভিতর প্রবেশ করিয়া ক্রমে সকলে একত্রে উপবেশন করিল ও ঐ স্ত্রীলোকটীর সহিত ক্রমে উহারা হাসি ঠাট্টা আরম্ভ করিয়া সময় অতিবাহিত করিতে লাগিল। ক্রমে রাত্রি দশটা বাজিয়া গেল, যে বাড়ীটীর কথা আমি বলিতেছি তাহা একে নির্জন স্থানে স্থাপিত ছিল, তাহার উপর রাত্রি অধিক হইবার সঙ্গে সঙ্গে ঐ স্থান আরও নিস্তব্ধ হইয়া পড়িল। সেই সময় দেখিলাম একটা সামান্য তুচ্ছ কথা অবলম্বন করিয়া ঐ স্ত্রীলোকটীর সহিত উহারা ক্রমে বচসা আরম্ভ করিল। আমি আমার ঘরে বসিয়া উহাদিগের আদ্যোপান্ত অবস্থা দর্শন ও উহাদিগের কথাবার্ত্তা সমস্তই শ্রবণ করিয়াছিলাম, সুতরাং আমি বেশ জানিলাম যে এই কলহে ঐ স্ত্রীলোকটীর কিছুমাত্র দোষ ছিল না, সমস্ত দোষই ঐ দস্যুগণের। স্ত্রীলোকটী ভাল কথা বলিলেও উহারা তাহার বিপরীত অর্থ করিয়া, তাহার সহিত মিথ্যা কলহ করিতে আরম্ভ করিল। প্রথম প্রথম আমি বুঝিতে পারিলাম না যে উহারা নিরর্থক ঐ স্ত্রীলোকটীর সঙ্গে কলহ করিতেছে কেন? আমি তখন বুঝিতে পারিলাম না যে এই নিরর্থক কলহের উদ্দেশ্য কি? ও তখন আমি বুঝিতে পারিলাম না যে ঐ কলহে ঐ দস্যুগণের কোনরূপ স্বার্থ আছে