পাতা:গুপ্ত রহস্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
দারোগার দপ্তর, ১৩৪ সংখ্যা।

গ্লাস তাহার হস্তে প্রদান করিবা মাত্র সে এক নিশ্বাসে ঐ এক, গ্লাস জল পান করিল। জল পান করিবার পর হইতেই তাহার অবস্থা যেন কেমন একরূপ বোধ হইতে লাগিল। ক্রমে যন্ত্রণায় সে ছটফট করিতে আরম্ভ করিল; এইরূপে কিয়ৎক্ষণ পর্যন্ত সে ভয়ানক যন্ত্রণা ভোগ করিয়া ক্রমে সে সেই স্থানে শয়ন করিল, ও ক্রমে সে সমস্ত যন্ত্রণার হস্ত হইতে পরিত্রাণ পাইল।

 এই অবস্থা দৃষ্টে তখন আমার যেন অনুমান হইল যে যাহারা তাহার সহিত মিথ্যা কলহ উৎপাদন করিয়া তাহাকে নানারূপে যন্ত্রণা প্রদান করিতেছিল, তাহার উপর যাহারা তাহাকে প্রহারাদি করিয়া তাহার মনের কষ্ট ও যন্ত্রণাকে দ্বিগুণিত করিতেছিল, তাহাদিগকে নিতান্ত নির্দ্দয় ভাবে গ্রহণ করিলেও এখন দেখিতেছি ঐ স্ত্রীলোকের নিতান্ত ইষ্টকারী পরিচয়ে যিনি আসিয়া সেই স্থানে উপস্থিত হইলেন, তাহার অপেক্ষা উহারা সহস্র গুণে ভাল। উহারা শত্রু পরিচয়েই উহাকে কষ্ট প্রদান করিতেছিল কিন্তু মিত্র পরিচয়ে উহার সর্ব্বনাশ সাধন করে নাই। মিত্র জ্ঞানে যাহাকে বিশ্বাস করা যায়, তাহার দ্বারা এইরূপ কার্য্য সমাধান হইলে তাহাকে কি বলিয়া যে অভিবাদন করিতে হয়, তাহা আমার ন্যায় সামান্য বুদ্ধির স্ত্রীলোক অবগত নহে। জানিনা এই কার্য্য সকলের পরামর্শ মত হইল কি না, জানিনা সকলে পরামর্শ করিয়া কেহ বা তাহার শত্রু ও কেহ বা তাহার মিত্র সাজিয়া এই ভয়ানক কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়া ঐ স্ত্রীলোকটীর সর্ব্বনাশ সাধন ও তাহার পরিহিত অলঙ্কার গুলি অপহরণ করিল কি না? জানিনা এই হত্যা কাণ্ডে সকলেই সম্মিলিত আছে কি না?

 এই রূপে হত হইয়া ঐ স্ত্রীলোকটী ঐ ঘরের মধ্যেই পড়িয়া