আমাদিগের প্রথম হইতেই বিশ্বাস হইয়াছিল যে সে কোন মুসলমানী বেশ্যা। ঐ রূপ মুসলমান বশ্যাগণের অধিকাংশই প্রায় ফৌজদারী বালাখানার সন্নিকটবর্ত্তী স্থানে বাস করিয়া থাকে। সুতরাং ঐ স্থানে আমরা গিয়া প্রথম অনুসন্ধান আরম্ভ করিলাম। মতিয়া বিবি নাম্নী কোন স্ত্রীলোক অথবা অপর নামধারিণী অপর কোন বিলাসিনী ঐ স্থান হইতে অন্তর্হিত হইয়াছে কি না তাহা জানিবার জন্য বিশেষরূপ চেষ্টা করিলাম; কিন্তু ঐ স্থান হইতে কোন স্ত্রীলোকের অন্তর্হিতা হইবার কোনরূপ সন্ধানই প্রাপ্ত হইলাম না।
মৃত স্ত্রীলোকটীর নাম মতিয়া বিবি, ইহা দস্যুগণের মুখ হইতেই প্রকাশিত হইয়াছে ও উহাদিগের নিকট হইতে জানিতে পারা গিয়াছে যে মতিয়া বিবি জাতিতে মুসলমান। এদিকে মুসলমান বেশ্যাগণের মধ্য হইতে ওরূপ কোন স্ত্রীলোক অন্তর্হিতা হইয়াছে জানিতে না পারিয়া স্বভাবতই আমাদিগের মনে সন্দেহ হইল, যে দস্যুগণ যাহাকে হত্যা করিয়াছে তাহার নাম মতিয়া বিবি নহে ও সে জাতিতে মুসলমানও নহে। মস্লিম্ মিখ্যা কথা বলিয়া উহার মিথ্যা পরিচয় দিয়াছিল।
মনে মনে এইরূপ অনুমান করিয়া তখন হিন্দু বিলাসিনীদিগের মধ্যে আমরা অনুসন্ধান করিতে প্রবৃত্ত হইলাম। যেরূপ প্রকৃতির স্ত্রীলোকের অনুসন্ধানে আমরা প্রবৃত্ত হইলাম তাহাদিগের অধিকাংশই প্রায় সোনাগাছির ও তাহার নিকটবর্ত্তী স্থানে বাস করিয়া থাকে। সুতরাং ঐ স্থানে গিয়া আমাদিগকে অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইতে হইল। সোনাগাছির মধ্যে ঐরূপ প্রকৃতির অনেক স্ত্রীলোক বাস করিয়া থাকে। তাহাদিগের মধ্যে একটাকে আমি উত্তমরূপে জানিলম, সেও আমাকে ভালরূপে