পাতা:গুপ্ত রহস্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গুপ্ত-রহস্য।
৪৫

অভিমুখে গমন করিলাম। যে গ্রামে ওসমান আলির বাসস্থান সেই গ্রামে না গিয়া মহম্মদ আলির অনুসন্ধান করায় জানিতে পারিলাম যে সেই গ্রামে মহম্মদ আলি নামক এক ব্যক্তি আছে, তাহার একটী পুত্রও আছে; উহার নাম ওসমান আলি। আজ কয়েক দিবস ওসমান আলি কলিকাতা হইতে বাড়ী আসিয়াছে।

 এই সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া সেই স্থানের স্থানীয় পুলিশের জনৈক কর্ম্মচারীকে সঙ্গে লইয়া সেই গ্রামে গিয়া উপস্থিত হইলাম ও ওসমান আলিকেও প্রাপ্ত হইলাম। উহাকে দেখিবা মাত্রই চিনিতে পারিলাম। সেও আমাকে উত্তমরুপে চিনিল। ঐ ব্যক্তি আমাদিগের সেই সর্ব্বজন পরিচিত মস‍্লিম্ ভিন্ন আর কেহই নহে। মস‍্লিমের ঘরের খানা তল্লাসি করিয়া কতকগুলি অর্থ প্রাপ্ত হইলাম, ও কতকগুলি অলঙ্কারও পাইলাম। ঐ সকল অলঙ্কারের মধ্যে কতকগুলি তারামণীর ঘর হতে অপহৃত অলঙ্কার বলিয়া পরিশেষে তারামণী সনাক্ত করিয়াছিল। আর যে সকল গিল‍্টীর গহনা পাওয়া গিয়াছিল তাহার অধিকাংশই বেলার গৃহন। বলিয়া পরিশেষে সাব্যস্ত হইয়াছিল।

 মস‍্লিম‍্কে ধৃত করিবার পর তাহার নিকট হইতে তাহার অনুসঙ্গিগণের ঠিকানা জানিয়া লইবার নিমিত্ত বিশেষরূপে চেষ্টা করা হইয়াছিল, কিন্তু কিছুতেই তাহার নিকট হইতে কোন কথা বাহির করিতে পারি নাই। এমন কি মস‍্লিমের সঙ্গে তাহার যে সকল পারিষদ, তারামণীকে হত্যা করা অপরাধে ধৃত হয়, এখন সে তাহাদিগের পর্য্যন্ত নাম বলিল না, কহিল তাহারা কে জানি না, তাহাদিগকে চিনি না, বা তাহাদিগের সহিত একত্র কখন সে বাস করে নাই। তাহার কথা শুনিয়া তাহাকে লইয়া