পাতা:গুরু - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

స్త్రళై কখনো ত এমন অনাচারের কথা শুনিনি । অণর স্বয়ং আমাদের আচার্য্যের এই কীৰ্ত্তি । yo জয়োত্তম । তাকে একবার জিজ্ঞাসা করেই দেখা যাক না ! বিশ্বম্ভর । না, না, আচাৰ্য্যকে আমরা— মহাপঞ্চক । কি করবে আচাৰ্য্যকে, বলে ফেল বিশ্বম্ভর । তাই ত ভাবছি কি করা যায় ! তাকে না হয়—আপনি বলে দিন না কি করতে হবে । মঙ্গপঞ্চক । আমি বলচি তাকে সংযত করে রাখতে হবে । সঞ্জীব । কেমন করে ? துர் মহাপঞ্চক । কেমন করে আবার কি ? মন্ত হস্তীকে যেমন করে সংঘত করতে হয় তেমনি করে । জয়োত্তম । আমাদের অাচাৰ্য্যদেবকে কি তা হলে— মহাপঞ্চক । ইi, তাকে বন্ধ করে রাখতে হবে । চুপ করে রইলে যে ! পারকে না ? ( আচার্য্যের প্রবেশ ) অাচার্য্য । বৎস, এতদিন তোমরা অামাকে আচার্য্য বলে মেনেছ, আজ তোমাদের সামনে আমার বিচারের দিন এসেছে । আমি স্বীকার করচি অপরাধের অন্ত নেই, অঙ্ক-মেষ্ট, তার প্রায়শ্চিত্ত • আমাকেই করতে হবে । সঞ্জীব । তবে আর দেরি করেন কেন ? এদিকে যে আমাদের সৰ্ব্বনাশ হয় । আচাৰ্য্য । গুরু চলে গেলেন, আমরা তার জায়গায় পুথি নিয়ে বসলুম ; সেই জীর্ণ পুথির ভাণ্ডারে প্রতিদিন তোমরা দলে দলে আমার কাছে তোমাদের তরুণ হৃদয়টি মেলে ধরে কি চাইতে এসেছিলে ?