পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RS8 গহীদাহ কেদারবাব বললেন, আমিও যে ঠিক একদিন পেয়েছিলাম তাও না । কিন্তু প্রয়োজন হয়ে পড়ে বৈ কি মণাল। কোন বস্তুকেই পরিত্যাগ ত আমরা প্রীতির ভেতর দিয়ে করিনে। যাকে ত্যাগ করে যাই, তার সম্পবন্ধে সেই যে মন ছোট হয়ে থাকে, সে 'ত কোনকালেই ঘোচে না ; সেইজন্যই তা আজ মহন্ত কৈফিয়তের দায়ে ঠেকেচি মা । কিন্তু তোমরা যা জন্ম থেকেই আপনা-আপনি অতি সহজেই পেয়েচ, সে ভাল হোক, মন্দ হোক, তাকেই অবলম্বন করে চলেচ । তফাতটা একটু চিন্তা করে দেখ দেখি ! মণোল মৌন হইয়া রহিল, প্রতিবাদ করিবার মত জবাবটা সে সহসা খাজিয়া *रेन का । BBBDBDDDS DDDDDLL BDSuBuDD DBDB BDBD DBBBBDS D BDBDSK BBLBDS দিনের ভুলে যাওয়া কথাও ধীরে ধীরে জেগে উঠেছে, কিন্তু এতকাল এরা কোথাও লিকিয়ে ছিল । মণাল চোখ তুলিয়া প্রশ্ন করিল, কার কথা বাবা ? কেদারবাব বলিলেন, আমারি কথা মা। বড় হবার মত বদ্ধিও ভগবান gपननि, বড়ও কখনো হতে পারিনি। আমি সাধারণ মানষি, সাধারণের সঙ্গে মিশেই কাটিয়েচি, কিন্তু আমাদের মধ্যে যাঁরা বড়, যাঁরা সমাজের মাথা, সমাজের আচাঘ হয়ে গেছেন, তাঁদের উপদেশই চিরকাল ভক্তির সঙ্গে, শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে এসেছি । তাঁদের সেই সব কতদিনের কত বিস্মত বাক্যই না। আজ আমার স্মরণ হচ্ছে । তুমি বলছিলে মণিাল, ধামান্তর-গ্রহণের মধ্যে ভালটাকে বেছে নেবার মধ্যে রেষারেষি থাকবেই বা কেন, থাকার প্রয়োজন হবেই বা কিসের জন্যে ? আমিও তা এতকাল তাই ববিচি, তাই বলে বেড়িয়েছি। কিন্তু আজ দেখতে পেয়েছি, প্রয়োজন ছিলই । আজি দেখতে পেয়েছি, হিন্দদের মধ্যে যারা এই বলে অভিযোগ করে যে, দেশেবিদেশে তাদের মাথা আমরা যতখানি হেট করে দিতে পেরেছি, ততখানি খ্রীস্টান পাদ্রীরাও পেরে ওঠেনি-নালিশটো ত আজ আর তাদের মিথ্যে বলেও ওড়াতে পারিনে মা । বস্তুতঃ, বিধমীর হাতে আমাদের মত বিভীষণ আর ত কেউই নেই । মণাল অত্যন্ত চঞ্চল হইয়া উঠিল, কিদ্ধ বদ্ধ তাহাতে দকপাত করিলেন না। বলিতে লাগিলেন, মণিাল, রেষারেষি যদি নাই-ই থাকবে, তা হলে আমাদের মধ্যে যাঁরা সকল বিষয়েই আদেশ, এমন কি, সমস্ত মানষের মধ্যেই যাঁরা আদশ পদবাচ্য, তাঁদের মখ দিয়ে ধমের মন্দিরে, ধমের বেদীতে দাঁড়িয়ে ‘রামা’কে রেমো, ‘হরি’কে হোরে, “নারায়ণ’কে নারাণে বেরবে। কেন ? সকলকে আহবান করে উচ্চকন্ঠে কিসের জন্যে একথা ঘোষণা করবেন যে দভােগারা যদি আঘাটায় ডুবে মরতে না চায় তি আমাদের এই বাঁধা-ঘাটে অ্যািসক, । মা, ধমোপদেশের এই প্রচন্ড তাল-ঠোকায় আমাদের সমাজসদ্ধ সকলের রন্তই তখন ভক্তিতে যেমন গরম, শ্রদ্ধায় তেমনি রক্ষ হয়ে উঠত-আলোচনায় পালকের মাত্রাও কোথাও একতিল কম পড়ত না, কিন্তু আজি জীবনের এই শেষপ্রান্তে পৌছে যেন সম্পলেট উপলবিধ করচি, তার মধ্যে উপদেশ যদি*