পাতা:গৃহদেবী - বিজয়রত্ন মজুমদার.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহদেবী ܘ ܪ পড়িয়া . গেল, এলারাম সিগন্যালটা টানিয়া গাড়ী থামান যায়, এক হাতে বুকের মধ্যে মূচ্ছিতা যুবতীকে চাপিয়া ধরিয়া সে শিকল টানিতে গিয়া হাতৃ ফিরাইয়া লইল । তাহার মনে হইতেছিল, গাড়ী থামিবে নিশ্চয়ই! কিন্তু লোকজন আসিয়া পড়িয়া একটা মহা হৈ চৈ বাধাইয়া দিবে তা ! সে কে এবং ইহার সহিত একগাড়ীতে কেন, হঠাৎ মূৰ্ছা হওয়ার কারণ কি !--এই সকল প্রশ্নের কোন জবাব সে নিজেকেই দিতে পারিতেছে না, তা-অন্যকে কি দিবে! এই ভাবিয়া সে সযত্নে সবলে তাহাকে উঠাইয়া স্নানঘরে লইয়া গেল । সন্তৰ্পণে মাটিতে শোওয়াইমু জলের কল-চাবিটা নাড়া নাড়ি করিতে, একবার ছিড়িক কুরিয়া একটু জল বাহির হুইয়াই • বন্ধ হাঁহয় গেল ; অনেক টানাটানিতেও আর এক বিন্দু জল বাহির হইল না । হঠাৎ মনে পড়িল, তাহার ট্রাঙ্কের ভিতর স্মেলিং সলটের শিশিটা আছে, সেটির দ্বারা কোন কাৰ্য্য হইতে পারে ভাবিয়া সে ট্রাঙ্ক হইতে সেটি বাহির করিয়া ঘন ঘন মুচ্ছিতার নাকে ধরিতে লাগিল। প্রায় পাঁচ মিনিট সময়, কাটিয়া গেল, জ্ঞান না ফিরিয়া আসাতে তরুণের প্রতিমুহূৰ্ত্তেই ভয় হইতেছিল, অন্য কোন বিপদ । ঘটিবে না ত! চিকিৎসাশাস্ত্ৰে তাহার বিন্দুমাত্ৰ বুৎপত্তি ছিল না, কি করিলে কি-হয় সে জানিতই না। একবার করিয়া নাকের কাছে শিশিটা ধরে, আর একবার বুকের উপর কান পাতিয়া শব্দ শুনিবার ব্যর্থ প্ৰয়াস করে । শেষবারেও যখন এতটুকু আশা দেখিতে পাইল না, শিশিটা