পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

いう? ஒதவி হইবার কারণ কি ? তাহার স্বাভাবিক পরিষ্কার থাকার একটা জ্ঞান ছিল, -কিন্তু সে সংসারে ধূলি-বালুতে গড়াগডি যাইত, সুতরাং ত্যাহার জন্মের সংস্কার সেই সংসারে বেশী দিন তিষ্টিতে পারিল না । কাপড়ে সামান্য একটু ময়লা লাগিলেই শিশুর দৃষ্টি সেই দিকে আকর্ষণ করা উচিত। — এবং তাহার সম্মুখে মুছিয়া দিয়া বা ধুইয়া ফেলিয়া তাহাকে বুঝান উচিত যে, কাপড় ময়লা করা ভাল নহে। ইহাতে ক্ৰমশঃ সে সতর্ক হইবে । অনেক বালিকাব আঁচল প্ৰায়ই ধরাশায়ী হইয়া আছে, সেই অঞ্চল-লগ্ন ধূলিতে অঙ্গ মলিন হাইযা গিয়াছে। গৃহিণী বালিকার দন্তধাবন হইতে মানের সময় পৰ্যন্ত, তাতার অঙ্গ পরিষ্কার রাখার প্রতি দষ্টি রাখবেন । পা দু’খনি বেশ পরিষ্কার থাকে, গ্রীব ও কণ্ঠ প্ৰভৃতি স্থানে ময়লা জমিযা না থাকে,-তৈল ও জলের দ্বারা দেহটি ঝকঝকে ও পরিষ্কার থাকে, এই সকল দেখা উচিত ; অনেক ছেলে-মেয়ের পায়ে এরূপ ময়লা জমি যা থাকে দে, তাহা আবিষ্কারের পর ক্রমাগত আট দশ দিন সাবান ঘষিয়াও তাহা তুলিতে পারা যায না । কোন কোন গৃহিণী গৃহ পরিস্কার রাখিবার জন্য উৎকট শ্রম করিতেছেন, এরূপ দেখা যায় । একবারের জাযগায় দশবার ঘরে ঝাট পড়িতেছে। এই ঝাট দিয়া গেলেন, আবার ছেলেরা কাগজ ছিাড়িয, কালী-জল ফেলিযা ঘব অপরিস্কার করিয়া গেল ; গৃহিণী ছেলেদিগকে গালি দিতে দিতে আবার ঝাঁট দিয়া গেলেন, পুনরায় আসিয়া দেখেন, ধৌত কাপড়ের বস্তা নামাইয়া শিশুরা এদিকে ওদিকে কাপড় ছড়াইয়া ফেলিয়াছে, পুনরায় টুকরা কাগজ ছিড়িতেছে এবং গ্লাস ও আপ-খোড়ায মাটি রাখিয়া উপুড় করিয়া রাখিয়া দিতেছে। এইরূপে গৃহের আবর্জনা কিছুতেই কমিতেছে না, বানের জলের মত ক্ৰমশঃ বাড়িয়া চলিতেছে। গৃহিণীর নিজের যদি গৃহে পরিচ্ছন্নতার দিকে প্রকৃতপক্ষে দৃষ্টি থাকে, তবে ছেলে-মেয়েরা তাহার