পাতা:গোড়ায় গলদ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@ 8- গোড়ায় গলদ বিনোদবিহারী। তাই সই। তবে আমি সন্ধানে বেরোব। চন্দরদার আবার চাদর বদলাতে বড়ো বিলম্ব হয় দেখেছি। ততক্ষণ আমিই খেয়া দেব। 朝 নিমাই। আজ তবে সভাভঙ্গ হোক। ও দিকে যতই রাত বয়ে যাচ্ছে আমাদের চন্দ্র ততই স্নান হয়ে আসছেন। চন্দ্রকান্ত। উত্তম প্রস্তাব। কিন্তু আগে আমাদের ভাগ্যলক্ষ্মীদের একটি বন্দনা গেয়ে তার পরে বেরোনো যাবে। এটি বিরহকালে আমার নিজের রচনা—বিরহ না হলে গান বাধবার অবসর পাওয়া যায় না। মিলনের সময় মিলনটা নিয়েই কিছু ব্যতিব্যস্ত হয়ে থাকতে হয়। গান । প্রথমে চন্দ্র পরে সকলে মিলিয়া বাউলের সুর যার অদৃষ্টে যেমনি জুটুক তোমরা সবাই ভালো । আমাদের এই আঁধার ঘরে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালো। কেউ বা অতি জ্বলজ্বল, কেউ বা মান ছলছল, কেউ বা কিছু দহন করে, কেউ বা স্নিগ্ধ আলো । নূতন প্রেমে নূতন বধু আগাগোড়া কেবল মধু, পুরাতনে অম্লমধুর একটুকু ঝাঝালো। বাক্য যখন বিদায় করে চক্ষু এসে পায়ে ধরে, রাগের সঙ্গে অনুরাগে সমান ভাগে ঢালো। আমরা তৃষ্ণা তোমরা সুধা, তোমরা তৃপ্তি আমরা ক্ষুধা, তোমার কথা বলতে কবির কথা ফুরালো। যে মূর্তি নয়নে জাগে সবই আমার ভালো লাগে— কেউ বা দিব্যি গৌরবরন, কেউ বা দিব্যি কালো।