হাতে ছিল গুলাল বাটইল কাগাক মারিল।
ডালে থাকি বনের কাগা রভিশাপ দিল॥
জাত্ত জাও দৈবক ঠাকুর মোগ মাল্লু বাটুল।১০৫
রাজ দরবারে গেইলে তোমার ভাবনা করব চুল॥
তবু আরো দৈবক ঠাকুর গমন করিল।
রাজ দরবারে জাএয়া রুপস্থিত হইল॥[১]
- ↑ পাঠান্তর:—
জখন কানি নৌকটা নাসিকার কাছে গ্যাল।
সেও বাদা নিলে পণ্ডিত পাউচান করিয়া॥
মাঝা নৌক চক্খুতে নাগি উলটিয়া পড়িল॥
সেও জাত্রা পণ্ডিতের ভঙ্গ হএ গ্যাল॥
কিছু পরে পণ্ডিত জাত্রা করি চায়।
উঠিল পণ্ডিত গামোড়া দিয়া।
চালের উয়া মাতাএ নাগিল হুট্টুস করিয়া॥
পণ্ডিতানি কহে কথা তোমার মাতাত নাগিল চাল।
নিশ্চয় করিয়া জানা গ্যাল তোমার জাত্রা হইল ভাল॥
সেও কথা ফ্যালেয়া পণ্ডিত বারে দিল পাও।
মাতার উপরে কাল জিটি করে সব্ব রাও॥
সেও বাদা নিলে পণ্ডিত পাউচান করিয়া—
পরে গণ্ডিত জাত্রা করি চায়।
আগে ডাকে পিছে ডাকে ছাইলায় ডাকায়॥
সেও বাদা পাউচান করিয়া—
পরে পণ্ডিত জাত্রা করি চায়।
শুকান ডালে পড়িয়া কাগায় চ্যাঁচায়॥
হস্ততে ছিল পণ্ডিতের গুলাল মারিল বাটুল।
কাগা বলে হারে পণ্ডিত কি মার বাটুল।
রাজ দরবারে গেইলে তোর ভাবনার করিম চুর॥
জ্যামন বাটুল পড়িল মোর গর্দানক নাগিয়া।
নোহার খাড়া পড়বে তোর গর্দানের উপর দিয়া॥