পাতা:গোপীচন্দ্রের গান.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সন্ন্যাস খণ্ড
২০৫

থাউক থাউক এগুলা দুস্ক পাঞ্জারের ভিতর।
একনা দুস্ক দিব এলায় বড় জঙ্গলের ভিতর॥
ওঠে হতে হাড়ি সিদ্দা পন্থ ম্যালা দিল।৭০৫
ধিয়ানের হাড়ি সিদ্দা ধিয়ানত দেখিল॥


    এক ডাক দুই ডাক তিন ডাক দিল।
    তিন ডাকের সময় রাজা শুনাই নাহি দিল॥
    হাড়ি বলে হারে বেটা রাজ দুলালিয়া।
    জত নিদ্রা নাহি জাও আপনার মহলে।
    তত নিদ্রা গিয়াছ তুমি জঙ্গলের ভিতরে॥
    এক পাএ দুই পাএ গমন করিল।
    রাজাক দেখি হাড়ি ভয়ঙ্কর হইল॥
    রাজার ছাইলা মহুও হইল জঙ্গলের ভিতরা।
    বাড়ি গেইলে মএনার সাথে হইবে ঝগড়া॥
    পুরান খুলিয়া হাড়ি বিচার করিবার নাগিল।
    পুরান খুলিয়া হাড়ি পুরানের পাইলে ন্যাখা।
    জনদুতে কালদুতে ঐখানে পাইলে দ্যাখা॥
    বোনের বাঘ বলি হাড়ি হুঙ্কার ছাড়িল।
    জত সকল বোনের বাঘ আসিয়া জুটিল॥
    বোনের বাঘ আসি করে হাড়িক প্রনাম।
    ক্যান ক্যান ডাকেন গুরু আমার কিবা কাম॥
    হাড়ি বলে হারে জাদু কার প্রানে চাও।
    এই জন্য ডাকিলাম আমি তোমার বরাবর।
    রাজার ছাইলার মহুও হইল জঙ্গলের ভিতর॥
    সকলই থাক তোমরা পহরা দিয়া।
    জাবত না আইসোঁ মুঞি হাড়িসিদ্ধা জমপুরি দেখিয়া॥
    জমপুরক নাগি হাড়ি গমন করিল।
    সোনার ভোমরা হইয়া হাড়ি শুন্যে চলি গ্যাল॥
    বৈতরনি পার হইয়া জমপুরে পড়িল।
    সোনার পাচ নন্দির নগনে দেখিল॥

    জনের মাও তপ করে জনপুরির ভিতর॥