ঐ খত নিগিয়া হাড়ি হিরা নটির হাতে দিল॥[১]
কড়ি বার কড়া আনিয়া হিরা হাড়ির হস্তে দিল॥
হস্ত ধরিয়া রাজাক নটির হস্তে দিল॥
জখন হিরা নটি রাজাক পাইল।
খট্ মট্ করিয়া নটি হাসিয়া উঠিল॥
টুপুস্ টুপুস্ করিয়া হাড়ি মাথা দমকাইল॥[২]
বড় রুপ্প আছে চ্যালার শরিলের উপর।
তিন দিন রং তামসা হইলে জাবে জমের ঘর॥
বাও সঞ্চরে রাজার গব্বে সোন্দাইল।
- ↑ গ্রীয়ার্সন সাহেবের সংগৃহীত পাঠে পাই—
ধর্ম্মর নামটা কাগজত লিখিল।
ঐ কলম ফেলাইয়া দিল হাড়ির বরাবর॥
যেন মতে হাড়ি সিদ্ধা হস্তত কলম পাইল।
রাম রাম করিয়া দস্তখৎ করিয়া দিল॥ - ↑ পাঠান্তর—
বার কোড়া কড়ি আনেক হরিদ্রা মাখিয়া।
একখান ভুটুয়া কাগজ জোগাও তো আনিয়া॥
বার বছরি খত রাজা দেউক আরো নিখিয়া॥
বার কোড়া কড়ি নিলে হিরা নটি হরিদ্রা মাখিয়া।
একখান কাগজ জোগাইলে আনিয়া॥
আপানার বন্দনের খত রাজা ন্যাখে বসিয়া॥
আহারে কম্বোক্তা নছিব এই ছিল কপালে।
ধম্মি রাজার বন্দন হৈল হিরা নটির ঘরে॥
খত নিথি মহারাজা দাখিল করিল।
বার কোড়া কড়ি নিয়া গুরুর হস্তে দিল॥
মহামন্ত্র গিয়ান নিলে সিদ্দা হাড়ি রিদএ জপিয়া।
জোড় বাঙ্গালার দুআরে কড়ি আখিলে গাড়িয়া॥
মহামন্ত্র গিয়ান নিলে রিদএ জপিয়া।
শুন্যতে হাড়ি সিদ্দা শুন্যত গ্যালত মিশাইয়া॥