তুমি জদি জান রাজা রুদাসিনি হৈয়া।৪৪০
আমি জাব তোমার পাছে বৈরাগিনি হৈয়া॥
শব্দ শুনছি তোমার জননি গিয়ানে ডাঙ্গর।
একটা পরিক্খা দ্যাও প্রভু দরবারের উপর॥
তাহাকে দেখি আমরা দুনয়ন ভরিয়া।
দেখিয়া শুনিয়া জাও তোরা রুদাসিনি হৈয়া॥৪৪৫
ছিনান করিয়া হাড়ির অঙ্গে হইল জতি।
ফ্যালাইলে ভিজা বস্ত্র পরলে শুকনা ধুতি॥
ওখানে থাকিয়া হাড়ির হরসিত মন।
রাজার দরবারে জাইয়া দিল দরশন॥
রাজার নারিকেলের তলে জোগ আসন করিল।
ঝুপার ঝুপার নারিকেল প্রনাম জানাইল॥
বাম হস্ত দিয়া নারিকেল পাড়াইলে ছিড়িয়া।
কানি নৌক দিয়া নারিকেল তিন ফাড়ি করিয়া।
শাস্ জল খাইলে বদন ভরিয়া।
জ্যামনকার নারিকেল তেমনি থুইল তুলিয়া॥
পার্টে থাকি ধম্মি রাজা নয়নে দেখিল।
পাট ছাড়ি ধম্মি রাজা গমন করিল।
গুরুদেবের চরন ধরি ভজিয়া পড়িল॥
পাও ধরোঁ গুরুধন হাত ধরোঁ তোর।
গোটা চারিক নারিকেল পাড়া জ্ঞান আমাক দয়া কর॥
এইলা মন্তর জদি আমি রাজা পাই।
বালাই দ্যাওঁ তোর রাজ্যের মাতাত বৈরাগ হৈয়া জাই॥
হাড়ি বলে হারে বেটা রাজ দুলালিয়া।
পাও ছাড়ি দে রাজার বেটা পাও ছাড়ি দে মোর।
লোকে দেখিলে চর্চ্চিয়া মারিবে তোর॥
তুই তো হলু পাটে রাজা মুই তো হনু হাড়ি।
পাও ছাড়ি দে রাজার বেটা হাড়ি জাওঁ মুই বাড়ি॥
ছাড়িতে পার ঘর জদি এড়িবার পার বাড়ি।
কত নাগে এমন গিয়ান হামরা দিতে পারি॥