জ্বলিয়া উঠিল অগ্নি ব্রহ্ম হুতাশন।
নিজ নামে জপ মুনি করিয়া আসন॥
মাণিকচন্দ্র পুড়িয়া হইয়া ভস্মধূল।
ভিজা বস্ত্রে উঠিল মুনি লয়া ভিজা চুল॥
সপ্ত দিন রাত্র যদি হুতাশন জ্বলে।
কি করিতে পারে মুনির নিজ নামের বলে
অগ্নিতে পুড়িয়া রাজা হইল সংহার।
মৃকুলে চলিল মুনি পুত্র বুঝাইবার॥
গোপীচন্দ্র দেখিল যদি আইল জননী।
কান্দিতে লাগিল রাজার চারি রাণী॥
অকারণ কান্দ বাছা শুন দিয়া মন।
মনুষ্যের উদরে আছে যম নিদারুণ॥
মনুষা হইয়া যেবা গুরু নাহি ভজে।
প্রহার করিয়া তাহাকে লইবে যমরাজে॥
গুরুর চরণে যার মন নাহি বান্ধে।
অবশ্য পড়িবেন সেই যমরাজের ফান্দে॥
গুরু সেব নাম জপ বাড়িবে পরমাই।
গুরুর মতন সার ধন পৃথিবীতে নাই॥
গুরু আদ্য গুরু সাধ্য গুরু করতার।
গুরু না ভজিলে বাছা সকলি অন্ধকার॥
গুরুর চরণে যার না হইল মন।
নিশ্চয় জানিও তার বিধি বিড়ম্বন।
মুনি বলেন শুন বাছা গোপীচন্দ্র।
গুরু ভজিলে বাছা অমর হয় কন্ধ॥
গুরুর মহা সমতুল কহা নাহি যায়।
ভজিলে গুরুর চরণ অমর হয় কায়॥
মায়ে বলে শোন পুত্র রাজার কুমার।
ভজন সাধ নাম জপ হইবে অমর॥
পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪১০
গোপীচন্দ্রের সন্নাস