পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
৪৩৯

স্ত্রী পুত্র কান্দে বাছা ঠাণ্ডা পানি পিয়ে॥
কুকধরণী মায়ে কান্দে যাবৎ প্রাণে জিয়ে॥
মৎস্যে চিনে গভার গঙ্গা পক্ষী চিনে ডাল।
মায়ে জানে পুত্রের মায়া জীবে যত কাল॥
ছাড় বাছা রাজ্য পাট মুখে মাখ ছাই।
মায়ে পুত্রে যুগী হয়ে চার যুগ বেড়াই॥
রাজা বলে তোমার বাক্য লঙ্ঘিতে না পারি।
পাকিলে মাথার চুল যাব দেশান্তরী॥
মায়ে বলে বাছা তুমি তত্ত্ব কথা শুন।
কিরূপে পাকিবে চুল যম নিদারুণ॥
আঠার বৎসর বাছা তোমার প্রমাই।
উনিশ বৎসর কালে যমের ঠাঁই॥
উনিশ বৎসর কালে তোমার মরণ।
কেমনে পাকিবে চুল যম নিদারুণ॥
রাজা বলে শুন মা বলি তোমার তরে।
আমি রাজা যুগী হব যম রাজার ডরে॥
যম এক রাজা মা আমি এক রাজ্যেশ্বর।
কি করিতে পারে মা করিব সংহার॥
ষোল বঙ্গের রাজাই আমাক দিয়াছেন গোঁসাই।
মারিব যমেক আমি করিয়া লড়াই॥
মুনি বলেন যমেক আমি দেখিতে না পাই।
কি মত প্রকারে বাছা করিবে লড়াই॥
লস্কর লইয়া যম নাহি যায় রণে।
শূন্য পথে থাকে যম ব্রহ্মগুণে টানে॥
রাজা বলে শুন মা ময়নামন্ত্রি রাই।
এক নিবেদন তোমার চরণে জানাই॥
আঠার বৎসর মা আমার প্রমাই।
সেবক করাবে আমার কোন গুরুর ঠাই॥