পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৮

ভবানীদাসের পুঁথি—

অগ্নিএ না জাবে পোড়া পানিতে না হএ তল। (পৃঃ ৩৪৫)

রংপুরের গাথা—

এমনি জদি আমার জাহান জায় যোগ ছাড়িয়া।
তবু মাইয়ার গিয়ান না নিমু শিখিয়া॥
আজি জদি তোমার গিয়ান নেই শিখিয়া।
কাইলকে ডাকাবেন হামাক শিস্য বেটা বলিয়া॥ (পৃঃ ১৪-১৫)

ভবানীদাসের পুঁথি—

ঘরের রমণী স্থানে জ্ঞান জে সাধিমু।
গুরু বুলি কোনমতে পদধূলি লৈমু॥ (পৃঃ ৩৪৭)

সুকুর মামুদের গ্রন্থে—

তোমার পিতা বলে আমি যদি প্রাণে মরি।
তবেত স্ত্রীর সেবক হইতে নাহি পারি॥ (পৃঃ ৪৫০)

রংপুরের গাথা—

ব্রহ্মার ভেতর বসি থাকিল যেমন কাঞ্চা সোনা। (পৃঃ ৪৮)

ভবানীদাসের পুঁথি—

সেই অগ্নিতে রহিল মুহি জেন কাঞ্চা সোন)। (পৃঃ ৩৪৯)

রংপুরের গাথা—

খেতুক দিম রাজ্যভার খ্যাতুক দিম বাড়ি।
ভাই খেতুক সপিয়া জাইম তোমা হ্যান সুন্দরি॥ (পৃঃ ১৮৪)

ভবানীদাসের পুঁথি—

থের্ত্তা স্থানে সমর্পিবে ঘড় আর বাড়ি।
কার স্থানে সমর্পিরে এচারি সুন্দরী॥ (পৃঃ ৩৫৩)

রংপুরের গাথা—

তিন কোন পৃথিবির গনোন ঠাঞতে গনি বইসে॥ (পৃঃ ১৩৯)

ভবানীদাসের পুঁথি—

তিন কোণ পৃথিবী আমি ঠাঞি বসি গণি॥ (পৃঃ ৩৫৭)

রংপুরের গাথা—

এতই জদি হাড়ি আছে গিয়ানে ডাঙ্গর।
তবে ক্যান খাটি খায় আমার খাটের তল॥ (পৃঃ ৬০)