8 to গোবিন্দ দাসের করচা শিঙারির মঠে থাকে শঙ্করের চেলা । সেই খানে গিয়া প্রভু করিলেন মেলা ॥ শঙ্করের শিন্য যত একত্র হইয়া । বিচার করিতে বসে তত্ত্ব বিচারিয়া ॥ বিচারে সকল চেলা মানে পরাজয় ! মঠ হৈতে মৎস্য তীর্থ দেখিবারে যায়। মৎস্ত তীর্থ কার প্রভু কাচাড়ে আইলা । কাচাড়তে ভগবতী দর্শন করিলা ॥ এই খানে কৃষ্ণাপুত্ৰী ভদে নামে নদী । স্নান করি চলি গেলা নাগপঞ্চপদী ॥ এথাকার লোক সব রাম ভক্ত হয় । এইস্থানে প্রভু ভিক্ষণ করিবারে কয় ॥ তিন বাড়ী ফিরিলাম ভিক্ষা করিবারে। আটা ভিক্ষণ দিলা সবে যহত আমারে ॥ এইস্থানে প্ৰভু মোর ত্রিরাত্রি থাকিয়া । চিতোল চলিলা সবে পৰ্ব্বত ভেদিয়া ॥ চিতোল ছাড়িয়া পুনঃ তুঙ্গভদ্রতীরে। স্নান করিবার তরে যায় ধীরে ধীরে । তুঙ্গভদ্রানদী তীরে সিনান করিয়া । কৃষ্ণগুণ গায় মোর গোরা বিনোদিয়া । কাবেরীর জন্মস্থান হয় কোটিাগরী । সেইখানে উপনীত নানাদেশ ফিরি ॥ কাবেরীর জন্মস্থানে করিয়া দিনান চগুপুর গ্রামে যায় প্ৰভু ভগবান। বামভাগে শোভা পায় সত্যনামে গিরি। সত্যগিরি তার শোভা বণিতে না পারি ॥ দুর হৈতে নীলবর্ণ রেখা দেখা যায়। হেরিলে তাহার শোভা নয়ন জুড়ায় ॥ | সত্যগিরি দেখি প্ৰভু প্রণাম করিল। বামে সত্যগিরি রাখি ডাহিনে চলিল ॥ চণ্ডপুর নগরের নিকটে আসিয়া । • এক বটবৃক্ষ তলে বসিলেন গিয়া ॥ চওপুর থাকে এক বিরক্ত গোসাই । লোক মুখে শুনি তারে ভেটিল নিমাই ॥ পণ্ডিত গোসাই বটে নানা শাস্ত্র জানে। সোনার কুণ্ডল তার দোলে এক কাণে ॥ ক্রমেতে গোসাই তোলে শাস্ত্রের বচন । গৰ্ব্বভরে করিতে লাগিল আলাপন ॥ ঈশ্বর ভারতী হয় স্ন্যাসীর নাম । লোকে বলে এ গোসাই সৰ্ব্বগুণধাম ॥ সন্ন্যাসীর অহঙ্কার মনেতে বুঝিয়া । অলপ হাসিল প্ৰভু মুখ ফিরাইয়া ॥ ভাল মন্দ নাহি কহে প্রভু বিশ্বম্ভর । বিরক্ত হইয়। অবশেষে হাসিবর ॥ প্রভূরে বলেন তুমি নাহি কহ বাণী। সুপণ্ডিত বলিয়া তোমারে নাহি মানি ॥ সৰ্ব্বলোকে বলে তুমি বড়ই পণ্ডিত । মুহি দেখি জ্ঞান নাহি তোমার কিঞ্চিত ॥ দেশশুদ্ধ হরিবোলা করিয়াছ তুমি। তোমার কিঞ্চিত গুণ নাহি দেখি আমি ॥ শুনেছি শাস্ত্রজ্ঞ কিন্তু মুখে নাহি কথা। ভ্ৰমিয়া বেড়াও ভিক্ষা করি যথাতখা ॥ বিদ্যা নাই জ্ঞান নাই বিচার করিতে। তবে কেন মুখলোক ভোলে মাচম্বিতে ॥ কি জানি কেমন ছলে কৌশল করিয়া। স্বাক্ষ্ম তত্ত্ব সৰ্ব্বলোকে দেহ দেখাইয়া ॥ এদেশের মূর্খলোকে হরিবোলা করি। কেমনে যাইবে তুমি বুঝিব চাকুরী। শক্তি যদি থাকে তবে করা বিচার । এইবারে বুদ্ধি শুদ্ধি বুঝিৰ তোমাঙ্গ৷
পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১৩৫
অবয়ব