১২২ গোবিন্দ লীলামৃত। কহে কিছু চিত্রা সুনয়নী। কুন্দলত প্রতি কহে সুমধুর বাণী। আপন বেতন কেন ছাড় কুন্দলতা 1পর দ্রব্য বলি কেন শঙ্ক। কর বৃথা । বোল যদি ধনী অাছে ধনে বা কি কায । লঞা যাহ দিহ নিজ সখির সমাজ ॥কুন্দলত হাসি কহে চিত্রাদেবী প্রতি ! গোবিন্দের ধুনে যদি নাহি কারো মতি । যার ধন তার ঠাঞি আছয়ে সৰ্ব্বথা । কিবা ফল আছে আর অতি চাটু কথা । তারে কহি কৃষ্ণে কহে তবে কুন্দলতা । হাসি২ কহে যেন করিয়া আত্মতা । আদানপ্রদান কাষ তোমার সহিতে । অতি ক্ষুদ্র। ইহা সঙ্গে নহে সমুচিতে ॥ ধনাঢ্য যেমন তুমি তেমন রাধিক । তাঁহা সনে কর আদান প্রদান অধিক11 ঈহ! শুনি নাগরেন্দ্র রাই অন্বেষয়ে । দেখিবারে চাহে রাই দেখিতে ন পায়ে। ললিতাকে কহে তুমি গোপন করিয়া কোথ। রাখিয়াছে তারে মানহ যাইয়। তুমি চুরি কৈলে বংশী রাই লুকাইলে। এই লাগি তুমি দণ্ডী সৰ্ব্বথা হইলে । ললিত ক জেন করে প্রতিভূ নহিয়ে । রাই কোথা গেলা আমি কেমনে জানিয়ে। রাজ্য কর সবে ইহা অামি গৃহে যাই। রাই কোথা গেলা, আমি দেখি শুনি নাই। কোন সখী কহে রাই গৃহে চলি গেলা। কেহ কহে মিত্রপূজা করিতে চলিলা। কেছ কহে চিত্ত গঙ্গাস্নান কাযে গেলা । গোবিন্দ পরশাশুদ্ধ শুদ্ধ হৈতে গেলা ৷ এইৰূপে সব কথা শুনিয়া গোবিন্দ । তুষাৰ্ত্ত হইল চিন্ত রাইর নিবন্ধ ॥ যে কুঞ্জে আছেন রাই কুন্দলতা জানে। জানাইল, সেই কুঞ্জ নয়নের কোণে । সে ইঙ্গিতে নাগরেন্দ্র সে কুঞ্জে পশিল । সখিগণ চতুৰ্দ্ধারে কপাট অৰ্পি ল। লতাপাশ দিয়া সেই কপাট বান্ধিলা । সেক্ট২ দ্বারে দ্বী হইয়া রহিল ৷ ‘ ওথা নাগরেন্দ্র আইলা দেখি নিত
পাতা:গোবিন্দ লীলামৃত গ্রন্থঃ.djvu/১২৯
অবয়ব