পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য సె లి কাৰ্য্যকরী হ’লে বিজ্ঞান-বিশ্বে সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা স্থাপিত হ’তে পারে, সেই বাস্তব-বিজ্ঞানই গৌড়ীয়সাহিত্যের প্রতিপাদ্য বিষয় । লোকপিতামহ ব্ৰহ্মাকে বিজ্ঞান-পুরুষ চতুঃশ্লোকীর মন্ত্রে এই বাস্তব-বিজ্ঞান-বীজই প্রদান ক’রেছিলেন। আবার সেই বিজ্ঞানপুরুষ শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত ত্রিবেণীর তটে শ্রীরূপ গোস্বামী প্রভুতে এই বিজ্ঞান-বিজলী সঞ্চার করবার লীলা প্রদর্শন ক’রেছিলেন । তারই ফলস্বরূপ গৌড়ীয়-বিজ্ঞান-মহাগ্রন্থ শ্ৰীভক্তিরসামৃতসিন্ধু প্রকাশিত হ’য়েছে । অনিত্য জগদ্ধপ অবাস্তবে বাস্তব-বুদ্ধিযুক্ত বৰ্ত্তমান বিশ্ব,এসকল কথাকে যেন ‘রূপক’ মনে না করেন । গৌড়ীয়-বাস্তব-বিজ্ঞান-সাহিত্য ভক্তিরসামুতসিন্ধুর আলোচনা করুন, দেখিবেন,—বিশ্ব-বিজ্ঞানকে কিরূপ বাস্তব মুবৈজ্ঞানিক ধারায় নিয়মিত করা হয়েছে। বাস্তব-বিশ্ববিজ্ঞান-মন্দিরের দ্বারোদঘাটনের কুঞ্চি কাস্বরূপ গৌড়ীয়-বিজ্ঞান-সাহিত্যের এই মূলমন্ত্রটা অনুধাবন করুন,— “অনাসক্তস্ত বিষয়ান যথার্হমুপযুঞ্জত: | নিৰ্ব্বন্ধঃ কৃষ্ণসম্বন্ধে যুক্তং বৈরাগ্যমুচ্যতে ॥” বিশ্ববিজ্ঞান যদি গোঁড়ায়-বিজ্ঞান-শাস্ত্রের এই মূলমন্ত্রটর অবজ্ঞা করে, তা’ছলে বিশ্ববিজ্ঞান অজ্ঞানে পরিণত হবে—বিশ্ব চিরকালই ভবমহাদাবাগ্নিতে দগ্ধ হ’তে থাকুবে । আর যে দিন ঐ বাস্তব-বিজ্ঞানের উক্ত বীজ-মন্ত্র কর্ণে