পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য 86t ‘আমি যে বাখনি স্বত্র করিয়া খণ্ডন। নবদ্বীপে তাহা স্থাপিবেক কোন জন ॥’ নগরে বসিয়া এই পড়াইমু গিয়া । দেখি কা’র শক্তি আছে দুযুক আসিয়া।” গৌড়ীয়-নিরুক্ত আমরা নিরুক্তকার যাস্কের নাম খুব শুনতে পাই, কিন্তু গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-নিরুক্তকারগণ যেরূপ পঞ্চপ্রকার নিরুক্ত, পদভঞ্জন প্রভৃতির উদাহরণ দেগিয়েছেন, তা’ নিরুক্তশাস্ত্রে যুগান্তর আনয়ন ক’রেছে । শ্ৰীল জীব-গোস্বামিপাদ সন্দর্ভে ঋগ্বেদের প্রথম মণ্ডলের ১৫৬ সুক্তের তৃতীয় ঋক্ ও বহু বেদমন্ত্র এবং শ্রীরূপ সনাতন, শ্ৰীচক্ৰবৰ্ত্তী, শ্ৰীল বলদেব বিদ্যাভূষণ, ঠাকুর ভক্তিবিনোদ, ওঁ বিষ্ণুপুদ শ্ৰীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদ প্রভৃতি বেদের বিভিন্ন মন্ত্র ব্যাখ্যাকালে গৌড়ীয়-নিরুক্ত-সম্পুট হ'তে যে মহামণি সকল আবিষ্কার করেছেন, তা দেখলে আশ্চৰ্য্যান্বিত হ’তে হয়—প্রত্যক্ষ উপলব্ধি হয়, নিরুক্ত-দেবতা পরমাক্ষরাকৃতি পরব্রহ্ম স্বয়ংই সেই সকল বৈদিক পদের পদভঞ্জন ক’রেছেন। এমন নৈপুণ্যের সহিত বর্ণাগম, বর্ণ-বিপৰ্য্যয়, বর্ণ-বিকার, বর্ণ-লোপ, যোগ প্রভৃতির সাধন একমাত্র নিরুক্ত-দেবতা পরমাক্ষরাকৃতি দিব্য-নামধেয়ের অব্যভিচারি উপাসক গৌড়ীয়-সাহিত্যিকগণের দ্বারাই সম্ভব। আমাদের পূৰ্ব্বগুরু ঐআনন্দতীর্থ, শ্ৰীজয়তীর্থ প্রভৃতিও নিরুক্ত-সাহিত্যের