পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য এবং আপনাদের স্বভাব-স্থল ভ ক্ষমা ও স্নেহের আশাবন্ধ হৃদয়ে ধারণ করে আজকার নৈবেদ্য পরিবেশন করবার জন্ত উপস্থিত হ’য়েছি। “গৌড়ীয়-সাহিত্য”—অভিধেয়-তত্ত্বান্তর্গত আজকার নৈবেদ্য—‘গৌড়ীয়-সাহিত্য’ । গত সপ্তাহের অভিভাষণে আমরা আলোচনা করেছি যে, আমাদের তিন দিবসের অভিভাষণ একটা বৈষ্ণব-বৈদাপ্তিক-প্রণালীতে সজ্জিত হ’য়েছে। গত সপ্তাহের ‘গৌড়ীয়-গৌরব’-শীর্ষক অভিভাষণে আমরা প্রয়োজন তত্ত্ব বিচার করেছি, আজ আমাদের ‘গৌড়ীয়-সাহিত্য’-অভিভাষণের বিচাৰ্য্য বিষয়— অভিধেয়ুতত্ত্ব । আগামী সপ্তাহে মদীয় আচাৰ্য্যদেব ‘গৌড়ীয়দর্শন’-শীর্ষক অভিভাষণে বিষদভাবে সম্বন্ধতত্ত্বের আলোচনা করবেন। ‘গৌড়ীয়’-শব্দের সংক্ষিপ্ত তাৎপৰ্য্য সেদিন ‘গৌড়ীয়-গৌরব’-মধ্যে ‘গৌড়ীয়’ শব্দের তাৎপৰ্য্য অনেকট আলোচিত হ’য়েছে, সুতরাং আলোচিত বিষয়ের পুনরাবৃত্তি নিম্প্রয়োজন মনে ক’রে আমরা ‘গৌড়ীয়’ শব্দে সারস্বত, কান্তকুজ, উংকা, মৈথিল, মধ্য-গৌড় বা বঙ্গ—এই পঞ্চ-গৌড়ের অধিবাসী, অথবা আরও ব্যাপক অর্থে রজতপীঠপুরন্দর গৌড়পূর্ণানন্দের অন্বয় অর্থাৎ ব্রহ্মমাধ্বপরম্পরায় মহাপ্রভুর সর্বদেশী ও সাৰ্ব্বজনীন বৈদাস্তিকসিদ্ধান্তের বিচার গ্রহণকারি-মাত্রকেই ‘গৌড়ীয়' বলতে পারি।