বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায়। ১২৭ মহীপালের সময় ওদন্তপুর বিহারে হীনযান মতের এক হাজার ও মহাযান মতের পাঁচ হাজার বৌদ্ধ ভিক্ষু বাস কল্পিত । পাল-রাজগণ ওদন্তপুর বিহারে প্রকাগু পুস্তকালয় স্থাপন করেন। এই বিহারে ব্রাহ্মণ ও বৌদ্ধগণের বহুসংখ্যক পুস্তক সংগৃহীত হইয়াছিল। বিক্রমশীলার সুপ্রসিদ্ধ রাজকীয় বৌদ্ধমঠে বৌদ্ধসন্ন্যাসিগণের মহাসভা রাজা মহীপাল দেবের সময়ের একটী প্রসিদ্ধ স্মরণীয় ঘটনা । ১০৩০ খৃষ্টাব্দে এই মহাসভা আহত হয় এবং এই সভায় তিব্বতীয় রাজদূত নাগটাহোলচড়া উপস্থিত ছিলেন । এই রাজদূত তৎকালে মগধের প্রধান বৌদ্ধ পুরোহিত স্থবির রত্নাকরের নিকট সংস্কৃত শিক্ষার্থে মগধে অবস্থান করিয়াছিলেন । তিববতীয় বৌদ্ধ ঐতিহাসিকগণের মতে গৌড়াধিপ মহীপাল ভোটরাজ লালামার সমসাময়িক । তিববতীয় গ্রন্থে আছে, বঙ্গদেশ কিয়ৎকাল তিব্বতের অধীন ছিল । ইহা অসম্ভব না হইতে পারে । , আর্য্য ক্ষেমীশ্বর, মহীপাল দেবের আদেশে ‘চণ্ডকৌশিক’ নাটক রচনা করেন । কবি লিথিয়াছেন, মহীপাল চন্দ্রগুপ্তের অবতার, ও দুষ্ট অমাত্যগণের বুদ্ধির অলঙ্ঘ্য ছিলেন। কবি কাৰ্ত্তিকেয় রাজার সভাসদ ছিলেন । কবির প্রপিতামহ সমধিক প্রসিদ্ধ ছিলেন বলিয়া বোধ হয় । এইজন্ত কবি আপনাকে আর্য্য প্রকোষ্ঠের প্রপৌত্র বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। দশম রাজ-নয়পাল দেব । eరిఆ ;-) &&చి •ః | প্রথম মহীপালের পর তৎপুত্র নয়পাল গৌড়ের সিংহাসনে আরোহণ করেন । * নয়পাল জিতেন্দ্রিয় পুরুষ ছিলেন। প্রকৃতিপুঞ্জ তাহার অনুগত ছিল । মদন পালের তাম্রশাসনে আছে –