বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨ છે গৌড়ের ইতিহাস । দান করিতে বাধ্য হন । চাঁদ সদাগরের বংশীয়েরা যেখানে যেখানে বাণিজ্যার্থে উপনিবিষ্ট হন, তথায় তথায় বিষহরীর উপাখ্যানসংক্রান্ত সমুদয় স্থানের নামকরণ করেন । অজয়নদের তীরবন্ত্রী মঙ্গলকোটের নিকট উজানিনগরে ধনপতি দত্ত ও তৎপুত্ৰ শ্ৰীপতি দত্ত বাস করিতেন। শ্ৰীপতি দত্ত সাধারণতঃ শ্ৰীমন্ত সদাগরনামে বিখ্যাত। ধনপতি দত্ত মঙ্গলচণ্ডী পূজার নিতান্ত বিরোধী ছিলেন। মঙ্গলচণ্ডী-পূজা প্রথমতঃ কলিঙ্গ, তৎপরে গুজরাট • শেষে উজানিনগরে প্রবর্তিত হয়। প্রবাদ যে, ধনপতি একবার তমলুকের সমুদয় কাসা কিনিয়া ব্যবসায়ে যান ; ব্যবসায়ে প্রচুর লাভ হওয়াতে, ফিরিবার কালে তমলুকের বর্গভীমার মন্দির প্রস্তুত করান। ধনপতির পূৰ্ব্বে উজানির রঘুপতি দত্ত বাণিজ্যে খ্যাতিলাভ করিয়াছিলেন । বিশালাক্ষী বা বাশুলী দেবীও অল্পে পূজা পান নাই। প্রবাদ যে, বৰ্দ্ধমানের ধূস দত্ত বণিক বাশুলী পূজায় বাধা দিয়াছিলেন। চওঁীপূজার মধ্যে শুভচণ্ডীর পূজা, মঙ্গলচণ্ডী পূজার অগ্রে স্ত্রীজাতির মধ্যে প্রচারিত হইয়াছিল। এই শুভচণ্ডী এখন বঙ্গদেশে স্বচনী নামে পূজা পাইতেছেন। গজলক্ষ্মীর পূজাও বঙ্গদেশে প্রচলিত ছিল। কালক্রমে গজলক্ষ্মী ও মঙ্গলচণ্ডী মিশিয়া কমলে-কামিনীরূপ ধারণ করিয়াছেন । পুণ্ডবৰ্দ্ধনে কাৰ্ত্তিকেয় দেবের মন্দির ছিল। তাহার শক্তি ষষ্ঠী এদেশে পূজিত হইতেন । সে কালের গন্ধবণিকেরা যব, সুমাত্রা ও ভারত মহাসাগরীয় অপরাপর দ্বীপে এবং সিংহলে বাণিজ্যাৰ্থ গমন করিতেন। দেশীয় বণিকেরাই র্তাহীদের অর্ণবযান চালাইত ।

  • গুজরাট নগর কলিঙ্গ ও রাঢ়ের মধ্যবৰ্ত্তী জঙ্গলে শবর জাতিদিগের কর্তৃক স্থাপিত হইয়াছিল । মাণিক দত্তের মঙ্গলচণ্ডীতে ইহার গুঞ্জর নাম দৃষ্ট হয়।