পাতা:গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিহারীলাল চক্রবর্তী.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বপ্নদর্শন । প্রযত্নে দিন দিন অধিকতর গৌরবের সহিত জীবনকাল অতিবাহন করিতেছিলাম। তিনি কতবার এই ছিদ্রান্বেষী হতাশ দুষ্ট দুর্ভিক্ষকে দূর করিয়া দিয়াছেন । ছিয়াত্তর মন্যন্তরে তাহার সহিত দুর্ভিক্ষের ঘোরতর সমর হইয়াছিল, তাহাতে তিনি প্রথমত দুৰ্ব্বল ও মুমূর্ষু প্ৰায় হইয়া পড়িলেন, কিন্তু পশ্চাৎ কিঞ্চিৎ বলাধান হইলে ঐ দুষ্টের প্রতি এরূপ ভয়ানক বেগে ধাবমান হইলেন, যে রাক্ষসী সহচর আর ক্ষণমাত্র তিষ্ঠিতে না পারিয়া কুকুরের ন্যায় লাঙ্গুল মুখে করিয়া কোথায় যে পলায়ন করিল, তাহার ঠিক রহিল না। এইরূপ তাহার সাহায্যে পৃথিবীমণ্ডলের বিস্তর জনপদ দুর্ভিক্ষের কঠোর আক্রমণ হইতে রক্ষা পাইয়াছে। কিন্তু শস্যরাশি এবার যেরূপ দুর্বল হইয়া পড়িয়াছে, তাহাতে যে দুর্ভিক্ষের হস্ত হইতে রক্ষা পাইয়া তোমাদিগকে মহামারীর কবল হইতে উদ্ধার করিতে সক্ষম হইবে, এরূপ বিশ্বাস হয় না। আর মহামারী যখন স্বয়ং এতাদৃশ গৰ্ব্ব প্রকাশ করিয়া গিয়াছে, তখন অবশ্যই কোন ভয়ানক ষড়জাল করিয়া থাকিবে, তাহার সন্দেহ নাই। আমার বোধ হয়, পূর্বে তাতারা এখানে প্রকাশ্য রূপে আসিয়া শস্যরাশির সৈন্যসমূহের এক এক অংশ আক্রমণ করিতে না করিতেই পরাজিত ও দূরীকৃত হইত, এবং অন্যান্য দেশেও তাহাকে রণস্থলে বিদ্যমান দেখিয়া অগ্রবর্তী হাঁটুতে পারিত না, এই নিমিত্তে শস্যরাশি ও আমার প্রতি তাহার অতিশয় আক্রোশ জন্মে। কিন্তু প্ৰকাশ্য রূপে কোন ক্রমেই বৈরানিৰ্য্যাতন হইল না, দেখিয়া এবার অলক্ষ্য ভাবে আপনাদিগকে সমূলে