পাতা:গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিহারীলাল চক্রবর্তী.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se স্বপ্নদর্শন । মাতা বঙ্গভূমি । আমরা জন্মের মত তোমার নিকট বিদায় হই, আর তোমার স্নিগ্ধ ক্ৰোড়ে শয়ন করিয়া সুখময় স্নেহ সুধা পান করিতে পাইলাম না, হায় ! হায় ! উঃ !” এই বালিয়া প্ৰাণত্যাগ করিতেছে। এই কথা বলিতে বলিতে তাহার নয়ন বাষ্পভরে আচ্ছন্ন হইয়া আসিল ; কণ্ঠ জড়িত হইয়া গেল ; ক্ষণেক স্তম্ভিত থাকিয়া অতি কষ্টে অতি মৃদুস্বরে বলিলেন, বাছা! আর কত বলিব, এক শোকের কথা বলিতে হৃদয়ে সহস্ৰ সহস্ৰ শোক উদ্দীপ্ত হইয়া উঠে। আমি চলিলাম ; অদৃষ্টে যাহা আছে, কেহ খণ্ডন করিতে পারিবে না । হে করুণাময় জগদীশ্বর ! আমার নিরুপায় সন্তানগুলিনকে দুর্ভিক্ষ ও মহামারী রাক্ষসীর আক্রোশ হইতে রক্ষা কর । এই বাক্যের অবসান হইবামাত্র তাহার করুণাময়ী মানুষীমূৰ্ত্তি আমার নেত্ৰ পথ হইতে তিরোহিত হইল । অমনি যেন আকাশ হইতে ধূপ করিয়া ধরাতলে পড়িলাম। মন অত্যন্ত বিষঃ হইয়া উঠিল; যেন ভয়ের কালিমা মুষ্ঠি সকল অট্ট হাস্তে আমার চতুদিকে ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিল ; প্ৰাণ কেমন ব্যাকুল হইয়া উঠিল ; ফলতঃ ভাষায় এমন শব্দ পাইতেছি না, যদ্বারা আমার মানের তখনকার ভার অবিকল বর্ণনা করি । কিন্তু ইহা বিলক্ষণ বোধ হয় যে, ক্ৰমে ক্রমে মোহ আসিয়া হৃদয়কে আচ্ছন্ন প্ৰায় করিয়া কেলিল । এদিকে আকাশও আমার হৃদয়ের ন্যায় ভাবান্তর প্রাপ্ত হইল, বৃহৎ একখণ্ড পৰ্ব্বতাকার মেঘ হুহু করিয়া বিস্তৃত হইয়া চন্দ্ৰমাকে ঢাকিয়া ফেলিল । * তখন্ধ আর ভয়ের পরিসীমা নাই ; 研研*孔