পাতা:গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিহারীলাল চক্রবর্তী.pdf/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষাদ ৷ ” তুলারাশিসম ফেনরাশি মুখে ধোরে, পড়িছে। নিঝর এক ঘোর শব্দ কোরে প্ৰচণ্ড মধুর সেই নিবার সুন্দর, আচম্বিতে হ’রে নিল তোমার অন্তর। কৌতুহলভরে তুমি দাড়ালে সেখানে, রহিলে অবাকৃ হয়ে চেয়ে তার পানে । বহু ক্ষণ বিধুমুখে কথা সরিল না, বহু ক্ষণ নয়নের পাতা পড়িল না । সে সময় সূৰ্য্যদেব আরক্ত শরীরে, ট’লে ঢলে পড়িছেন সাগরের নীরে । সন্ধ্যা সেবী হাসিছেন। রক্তাম্বর পরি, ভৈরবে ভেটিছে যেন ভৈরবী সুন্দরী । প্রকৃতির রূপরাশি ভাব্লি দুনিয়ন • সুখে পান করি মোরা হয়ে নিমগন, পাশ্ব হ’তে চকাচকী, কঁাদিয়ে উঠিল, করুণ কাতর স্বরে দিগন্ত পূরিল । স্বভাব হইতে দৃষ্টি সরিয়ে তখনি, চক্ৰবাক মিথুনেতে পড়িল অমনি । কোকবন্ধু কোক মুখে মুখাটী রাখিয়ে, করিল কতই দুখ কঁাদিয়ে কঁাদিয়ে । শেষে ছটু ফন্টু কোরে আকাশে উঠিল, লুঠিতে লুঠিতে গিয়ে ও পারে পড়িল । RR Rół