পাতা:গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিহারীলাল চক্রবর্তী.pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্বেষণ । যেন সদ্য ফুটে আছে শ্বেত শতদল, নিৰ্ম্মল স্ফটিক জল যেন টলমল । পঙ্কের কাজের মত তক্‌ তক করে, তুমি কি ঝাপায়ে পড় তাহার উপরে ? রসের লহরী ধায় তরল নয়নে, চঞ্চল চপল যেন খেলে নবঘনে । তুমি কি দোলায়ে গলে কুবলয় মালা, নয়ন তরঙ্গে কর লুকাচুরি খেলা ? প্ৰফুল্ল অধরে কিবে মৃদু মৃদু হাস, প্ৰসন্ন বদনে কিবে মধু মধু ভাষা ! তুমি কি সে হাসে ভাষে মধুমাখা হয়ে, হরহে নয়ন মন সমুখেই রয়ে ? কবিদেরু-সুধাময়ী সরলা লেখনী, জগতের মনোহর রতনের খনি । যখন যে পথে যায়। সেই পথ আলো, যখন যে কথা কয়। তাই লাগে ভাল । আহা কি উদাত্ততর পদক্রম ছটা, রস, ভরে ঢল ঢল গমনের ঘটা ! স্বৰ্গসুধা পানে যেন হয়ে মাতোয়ারা, ভ্ৰমিছে নন্দন বনে ললিত অপসরা । শ্বেত শতদল মালা দুলিছে গলায়, হেসে হেসে চায়, রূপে ভুবন ভুলায় । V)(t